North Dinajpur News: ছেলের অসুস্থতার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে জামাইকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
মৃতের আত্মীয়রা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ছেলের জ্বর হয়েছে এমন খবর দিয়েই ছোট সোরেনকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়। আর সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ছেলের অসুস্থতার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে জামাইকে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার ঘুঘুডাঙা এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইটাহার থানার পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে, মৃতের নাম ছোট সোরেন। বছর সাঁইত্রিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি বারোভিটা এলাকায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হওয়ায় ছোট সোরেনের স্ত্রী সানিয়াল হেমব্রম ছেলেকে নিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যান। এরপর গত বুধবার স্বামীকে ছেলের অসুস্থতার খবর দেন স্ত্রী সানিয়াল। তার সঙ্গে স্বামীকে বাপের বাড়িতে ডেকেও পাঠান তিনি। অভিযোগ উঠেছে যে, বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর ও শ্যালিকা মিলে বেধড়ক মারধর করেন ছোট সোরেনকে। মারধরের পর মারাত্মক জখম অবস্থায় শুক্রবার কেউ বা কারা তাঁকে একটি টোটোতে চাপিয়ে দেন। তাঁরা আরও অভিযোগ তুলেছেন যে, ছোট সোরেনের এমন অবস্থার খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির লোকেরা শুক্রবার রাত দশটার সময় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেন। কিন্তু মারধরের কারণে ওই ব্যক্তি এতটাই আহত ছিলেন যে, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই রাত দুটোর সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন - North Dinajpur News: ইসলামপুরে কানাইয়ালাল, উত্তর দিনাজপুরে তিন পুরসভার চেয়ারম্যানের নাম জানাল তৃণমূল
মৃতের আত্মীয়রা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ছেলের জ্বর হয়েছে এমন খবর দিয়েই ছোট সোরেনকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়। ছেলের শরীর খারাপের কথা শুনে তিনি তড়িঘড়ি শ্বশুরবাড়ি যান। আর সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, চিকিৎসা শুরু হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার দুপুরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠায় পুলিশ। এমন নৃশংস ঘটনার কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সামনে আসবে।