TMC Leader Attacked : বুকের বাঁদিকে গভীর ক্ষত চিহ্ন, উত্তর দিনাজপুরে রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার তৃণমূল নেতা
Uttar Dinajpur News : ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কার্তিক মণ্ডল জানিয়েছেন, কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। ছুরিতে আহত হয়েছেন ওই যুবক।
![TMC Leader Attacked : বুকের বাঁদিকে গভীর ক্ষত চিহ্ন, উত্তর দিনাজপুরে রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার তৃণমূল নেতা North Dinajpur TMC Leader recovered from roadside deep wound in his chest TMC Leader Attacked : বুকের বাঁদিকে গভীর ক্ষত চিহ্ন, উত্তর দিনাজপুরে রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার তৃণমূল নেতা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/03/10/1ecb1c0980409241d3924956f8ab6a71167844302673252_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur) রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার তৃণমূল নেতা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তাঁর বুকের বাঁদিকে গভীর ক্ষত চিহ্ন ছিল। সেটি কি গুলির ক্ষত? তা নিয়ে দানা বাঁধে রহস্য। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও গুলি চলেনি, ছুরিতে আহত হয়েছেন ওই নেতা। কে কেন ছুরি মারল, তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ (Chopra Police Station)।
গুলি না ছুরির আঘাত !
অন্ধকার রাস্তায় পড়ে আছেন রক্তাক্ত তৃণমূল নেতা। বুকের বাঁদিকে গভীর ক্ষতচিহ্ন ! তৃণমূল নেতাকে কি গুলি করা হয়েছে ? না কি অন্য কিছুতে আহত হয়েছেন ? তা নিয়ে দানা বাঁধে রহস্য। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। পুলিশ এসে রক্তাক্ত ওই যুবককে উদ্ধার করে। আহত তৃণমূল নেতার নাম, জাকির হোসেন (৩৮)। তিনি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘিরনিগাঁও অঞ্চলের তৃণমূল (TMC) যুগ্ম সভাপতি। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক (Primary Teacher)।
পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক ব্যক্তি জাকিরের কাছে কিছু টাকা পেতেন। বৃহস্পতিবার সেই টাকা না পেয়ে জাকিরকে হুমকি দেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার নেপথ্যে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় ভর্তি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। এখন তিনি ভর্তি আছেন শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে।
ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কার্তিক মণ্ডল জানিয়েছেন, কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। ছুরিতে আহত হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দিনকয়েক আগেই তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ইসলামপুরে (Islampur News) দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি-বোমার লড়াইও হয়। সেই বোমার আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসে। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, স্থানীয় তৃণমূল নেতার ভাই বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় যিনি অভিযুক্ত, তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পারদ চড়ছে রাজনীতিরও। থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যে ঘটনায় এই ঘটনায়, জেলা সভাপতি এবং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)