North Dinajpur: প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাপ ধরার চেষ্টা, বিষধর সাপের ছোবলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা যুবকের
একবার-দু'বার নয়, তিন তিন বার একই সাপের ছোবল খেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি যুবক।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর (রায়গঞ্জ): প্রশিক্ষণ ছাড়া সাপ ধরার বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে রায়গঞ্জে ফের বিষধর সাপের ছোবল খেল এক যুবক। একবার-দু'বার নয়, তিন তিন বার একই সাপের ছোবল খেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই যুবক।
সাপ ধরার কোনো প্রশিক্ষণ না থাকায় এই দুঃসাহস দেখাতে গিয়েই বিপত্তি বলে জানান স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, আহত ওই যুবকের নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি পেশায় টোটো চালক। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় প্রায় ৪ ফুটের একটি বিষাক্ত গোখরো সাপ ধরতে যান তিনি।
সাপটির মাথা ধরে কৌটো বন্দী করতে গেলে সাপটি তাঁর হাতে ছোবল বসায়। এমনটাই দৃশ্য কার্যত মোবাইল বন্দী করছিলেন সে সময়ে তার পাশে থাকা অন্যান্যরা। সাপের দংশনের দৃশ্যও রেকর্ড হয় সেই ভিডিওতে। খবর পেয়ে রায়গঞ্জের একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্মীরা গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ওই যুবককে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেলে ভর্তি করায়।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে রাতেই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে বলে মেডিকেল কলেজের তরফে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ছাড়া এভাবে সাপ না ধরার বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসক ও পশুপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন, পাহাড়ের গুহায় পূজিত হন লালজলের 'দেবীদুর্গা', রোমহর্ষক সেই উৎসবের প্রাচীন কাহিনী
এদিকে, পাচারের আগেই জলপাইগুড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হল কয়েক কোটি টাকার সাপের বিষ। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে সাপের বিষ পাচার করতে গিয়ে বন দফতরের হাতে ধরা পড়ছে একজন। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকার সাপের বিষ। গোপন সূত্রে বিষ পাচারের খবর পেয়ে শুক্রবার গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন বনকর্মীরা। ধৃত ব্যক্তি দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। ওই বিষ চিনে পাচারের ছক ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটি বেলজিয়াম ক্রিস্টাল কাচের জারে সাপের বিষ পাচারের চেষ্টা করছিল এক পাচারকারী। তাকে ধরে ফেলেন গরুমারা বন্যপ্রাণী শাখার কর্মীরা। ধৃত পাচারকারী দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। চিনে বিষ পাচার করার কথা ছিল ধৃতের। এই বিষ ১৩ কোটি টাকায় বিক্রির ছক ছিল। ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়।