Nadia News: শ্রমিকদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানে ধাক্কা লরির, চাকুলিয়ায় মৃত ২; জখম বেশ কয়েকজন
Bihar : বিহারের বাহাদুরগঞ্জে পাইপ লাইনের কাজে গিয়েছিলেন ৯ জন শ্রমিক
সুদীপ চক্রবর্তী, চাকুলিয়া : শ্রমিকদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানের পেছনে ধাক্কা লরির। দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু। জখম বেশ কয়েকজন। গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার কানকি এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত দুই জনের বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত হয়েছে।
বিহারের বাহাদুরগঞ্জে পাইপ লাইনের কাজে গিয়েছিলেন ৯ জন শ্রমিক। কাজ শেষে ফেরার পথে চাকুলিয়া থানার কানকি জাতীয় সড়কে শ্রমিকবাহী পিকআপ ভ্যানের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। ঘটনাস্থলেই দুই জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য বিহারের কিষানগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
বাঁকুড়ায় দুর্ঘটনা -
দিন দুয়েক আগেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ায় (Bankura Accident)। ওন্দায় যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, বাস ও পিক আপ ভ্যানের চালক-সহ ২০ জন আহত হন। সকাল ৭টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুর যাচ্ছিল বেসরকারি বাসটি। উল্টোদিক আসা বাদাম বোঝাই পিক আপ ভ্যান বাসে ধাক্কা মারে। পুলিশ সূত্রে খবর, পিক আপ ভ্যানের পিছনের ডানদিকের চাকা ফেটে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। ঘটনায় বিকট শব্দে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষ ও ওন্দা পুলিশ। পিক আপ ভ্যানের ড্রাইভারকে বের করা হয়। পরে বাসের ড্রাইভার ও বাসযাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। আহতদের নিয়ে ভর্তি করা হয় ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
কলকাতায় দুর্ঘটনা-
এদিকে গতকালই ট্রাফিক আইন ভাঙায় বাইক আটকানোয়, আক্রান্ত হন ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police Attacked)। এজেসি বোস উড়ালপুলের সামনে পুলিশ (Police) কর্মীকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া বাইক চালক। আহত হন ট্রাফিকের এএসআই। এই ঘটনায় দুই নাবালক বাইক আরোহীকে আটক করে হেস্টিংস থানার পুলিশ (Hestings Police Station)।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বেপরোয়া গতির বলির উদাহরণ ভুরিভুরি (Accident)। সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। প্রায়শই অভিযোগ ওঠে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। কখনও কখনও মদ্যপ অবস্থাতেও গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।