Abhijit Binayak Banerjee on School Reopen : ভাগ-বিয়োগ জানে না রাজ্যের খুদেরা! ছোটদের স্কুল খুলতে সওয়াল নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
১ থেকে ৯ সংখ্যা চেনে না তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের একাংশ। ৯৯ পর্যন্ত সংখ্যা চিনতে পারলেও বিয়োগ বা ভাগ করতে পারে না অনেকে। সমীক্ষক সংস্থা ASER-এর রিপোর্টে করোনাকালে রাজ্যের শিশু পড়ুয়াদের এমন ছবি।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : এক সপ্তাহ আগে অষ্টম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের স্কুলে (School) ক্লাস শুরু হয়েছে রাজ্যে (West Bengal)। প্রাক প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের এখনও শ্রেণিকক্ষে ক্লাসের অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার (West Bengal State Government)। শিশুদের নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয় (Paray Sikhhaloy)। এই প্রেক্ষাপটে ছোটদের স্কুল খোলার পক্ষে মত জানালেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Novel laureate Abhijit Binayak Banerjee)। যিনি রাজ্যের করোনা সংক্রান্ত গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডের প্রধান।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্য সরকারকে বলেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল খুলে দেওয়া, এটাই আমাদের মত। এখনই স্কুল খোলা দরকার। এই কোভিডের সংখ্যা কম। আমার ধারণা, সরকার শীঘ্র স্কুল খুলে দেবে, যতদূর জানি। কারণ, সবাই চান স্কুল খোলা হোক। বুধবার ‘লিভার ফাউন্ডেশন’ এবং ‘প্রথম’-এর উদ্যোগে করোনাকালে রাজ্যে স্কুলশিক্ষার সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। Annual Status of Education Report বা ASER (আসার)-এর সমীক্ষায়, এই দুঃসময়ে রাজ্য রাজ্যের সরকারি স্কুলের ভর্তির হার বাড়লেও শিশু পড়ুয়াদের পারফর্ম্যান্সে উদ্বেগের ছবি স্পষ্ট।
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে ১২.৬ শতাংশ শিশু বর্ণ পড়তেও অক্ষম। ২০.৭ শতাংশ শিশু বর্ণ পড়তে পারলেও শব্দ বা তার বেশি পড়তে পারে না। ১৭.৫ শতাংশ শিশু পড়তে পারে, কিন্তু প্রথম শ্রেণি বা উচ্চতর স্তরের পাঠ পড়তে অক্ষম। তৃতীয় শ্রেণির শিশুদের মধ্যে ৯.২ শতাংশ ১ থেকে ৯ সংখ্যা চেনে না। ৩২.৭ শতাংশ শিশু ৯৯ পর্যন্ত সংখ্যা চিনতে পারে কিন্তু বিয়োগ করতে পারে না। ১৫.৫ শতাংশ শিশু বিয়োগ করতে পারে কিন্তু ভাগ করতে পারে না। রাজ্যের সরকারি স্কুলের ৭০ শতাংশ শিশু পড়ুয়া এখনও গৃহ শিক্ষক নির্ভর। বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে তা ৭৩ শতাংশ। সরকারি স্কুলে পড়া ৬৬.৪ শতাংশ শিশু বাড়িতে পড়ার সময় পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সাহায্য পায়।
সমীক্ষক সংস্থার তরফে দার্জিলিং বাদে রাজ্যের ১৭টি জেলার ৫১০টি গ্রামে ১০ হাজার ১৪১টি পরিবারে সমীক্ষা চালানো হয়। ৩ থেকে ৬ বছররের ১১হাজার ১৮৯ জন শিশু পড়ুয়ার মধ্যে এই সমীক্ষা হয় ডিসেম্বর মাসে। করোনাকালে দীর্ঘ ২ বছর স্কুল বন্ধ থাকায় শৈশবের ক্ষতি বেড়েছে, এবং সেখান থেকেই উঠে এসেছে স্কুল খোলার দাবি।
শৈশবের সমস্যা মোকাবিলার অনিবার্য দাওয়াই স্কুল খোলা। তা মেনে নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা উঠে এসেছে নোবেলজয়ীর মুখে। পড়ুয়ারা কোথায় পিছিয়ে পড়ছে, তা অভিভাবকদের নজর রাখা। শিশুরা যেখান থেকে পিছিয়ে পড়েছে, ঠিক সেই জায়গা থেকেই স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করা। এবং প্রয়োজনে সিলেবাসের ভার কমিয়ে পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন- শুরু পাড়ায় শিক্ষালয়, কচিকাঁচাদের উৎসাহ চরমে
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI