(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bankura: ৭৬ জন পড়ুয়ার জন্য একজন শিক্ষক, ধুঁকছে ওন্দার কোচখালুই জুনিয়র হাইস্কুল
Bankura News: পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৬। শিক্ষক একজন, তাও অতিথি শিক্ষক। যাঁর অবসরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হোক, তেমনটাই তিনি চান।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: স্কুলে পড়ুয়ার (students) সংখ্যা ৭৬। অথচ শিক্ষক (teacher) মাত্র একজন। শুধু তাই নয়, স্কুলের ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের (mid-day meal) বন্দোবস্ত, করণিকের কাজও তাঁকেই সামলাতে হয়। শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দার কোচখালুই জুনিয়র হাইস্কুল। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (District School Inspector)।
নেই শিক্ষক, ধুঁকছে ওন্দার স্কুল
ঘনিষ্ঠের ঘরে অর্থের পাহাড়। ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আর রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় করে চাকরির দাবিতে রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলনে স্কুলের চাকরি প্রার্থীরা। এসবের মাঝেই প্রশাসনের সামনে যেন আয়না ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের বেহাল ছবি তুলে ধরেছে বাঁকুড়ার ওন্দার কোচখালুই জুনিয়র হাইস্কুল।
পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৬। শিক্ষক একজন, তাও অতিথি শিক্ষক। যাঁর অবসরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। স্কুলের ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের বন্দোবস্ত, করণিকের কাজ সামলানোর পাশাপাশি, ক্লাসে পড়ানো, সবটাই একা হাতে সামলান তিনি।
কোচখালুই জুনিয়র হাইস্কুলের অতিথি শিক্ষক তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হোক, তেমনটাই তিনি চান। তাঁকে একা হাতেই সব করতে হয়, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। শিক্ষক অসুস্থ হলেই, স্কুলে তালা ঝোলে।
ওন্দার ওই স্কুলের পড়ুয়া রাকেশ মালগোপের কথায়, 'শিক্ষক অসুস্থ হলেই ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। এখানে পড়াশুনো না হলে অন্য স্কুল যেতে হলে তা অনেক দূর।' স্থানীয় বাসিন্দা মধুসূদন মালগোপের কথায়, ' শিক্ষকের অভাব রয়েছে বলে মানছেন জেলা স্কুল পরিদর্শকও।'
আরও পড়ুন: Pashchim Medinipur: ১১ বছর আগে সিপিএম কর্মীদের থেকে নেওয়া ‘জরিমানা’র টাকা ফেরত তৃণমূলের
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে গ্রামের মানুষের টাকায় গ্রামেরই শিক্ষিত যুবকরা পড়াতেন স্কুলে। ২০১৯ সালে টাকা না পাওয়ায় ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পড়ানো বন্ধ করে দেন। বর্তমানে অতিথি শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১। শুরু থেকে, কোনওদিনই স্থায়ী শিক্ষক মেলেনি। শিক্ষকের অভাবের কথা মেনে নিয়েছেন খোদ জেলা স্কুল পরিদর্শকও।
বাঁকুড়ার স্কুল পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা বলছেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ব্যাপারটা নজরে আছে। কথা বলেছি। শিক্ষক পেলেই দ্রুত নিয়োগ করব।'
কবে মিলবে স্থায়ী শিক্ষক? আশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুল।