Panchayat Election: 'গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে যেন মৃত্যুঘণ্টা না বাজে', ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে রাজ্যকে ফের কড়া বার্তা রাজ্যপালের
Governor on Panchayat Election: তিনি এও বলেন, 'যেখানেই হিংসার ঘটনা ঘটবে, আমি সেখানেই আমি যাব। আমি গ্রাউন্ড জিরো গভর্নর হতে চাই'।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন বাড়ছে ভোট (Vote) সন্ত্রাস। আর এ নিয়ে এবার ফের রাজ্যকে ফের কড়া বার্তা রাজ্যপালের (Governor)। শিলিগুড়িতে (Siliguri) বিজেপি (BJP) সহ পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে যেন মৃত্যুঘণ্টা না বাজে। খুনের রাজনীতি, ভয়ের রাজনীতি, হুমকির রাজনীতি দূর হওয়া দরকার। এটা ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যা ঘটছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। হাইকোর্টের নির্দেশেও বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক নাগরিক যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন'।
তিনি এও বলেন, 'যেখানেই হিংসার ঘটনা ঘটবে, আমি সেখানেই আমি যাব। আমি গ্রাউন্ড জিরো গভর্নর হতে চাই'।
এদিকে, এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন আগে কখনও হয়নি। বাংলার পুলিশ অফিসাররা যে কোনও পুলিশের থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যখন, মনোনয়ন পর্বে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড়, তখন পুলিশকে এভাবেই দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন, রাজ্যপাল থেকে আদালত এবং বিরোধীরা।
এর আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব কার? এটা তো রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। পুলিশ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট, সবাই এখন তাঁর নিয়ন্ত্রণে। রক্তপাত হয়েছে। মানুষের যে রক্ত ঝরেছে, সেই প্রতিটি রক্তবিন্দুর জন্য দায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে গেলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টির প্রতিনিধিরা। বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের গ্রামে-গঞ্জে অরাজকতা চলছে। আইন শৃঙ্খলা কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাই রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি। সেই কারণেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ বলে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত জানিয়েছেন।
এদিকে, তৃণমূল কর্মী এবং নির্দল প্রার্থী ও তাঁর অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মালদার ইংরেজবাজারের নঘড়িয়া গ্রাম। গতকাল রাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। ৮টি বাড়ি ভাঙচুর, দোকান লুঠ ও ২টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। ইংরেজবাজারের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই কালিন্দি নদী। নদীর ওপারে নঘড়িয়া গ্রাম। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের রাশ কার থাকবে তা নিয়ে দুই তৃণমূল নেতা জাহিদুল শেখ ও লাকি আলির মধ্যে বিবাদ। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে এবার নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন লাকি আলির স্ত্রী। গতকাল এই নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। আজ সকাল
থেকে এলাকা থমথমে। চলছে পুলিশি টহল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন