Islampur News: ভোট পরবর্তী হিংসাতেও TMC-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের অনুগামীদের ওপর চলল ছররা গুলি
Islampur TMC Clash: ভোট পরবর্তী হিংসায়, হামলার অভিযোগ তৃণমূলেরই চোপড়ার বিধায়ক-অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
ইসলামপুর: ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল, ইসলামপুরে চলল ছররা গুলি। জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের অনুগামীদের ওপর ছররা গুলি চালানোর অভিযোগ, জখম ১৯ জন, আশঙ্কাজনক ১। হামলার অভিযোগ তৃণমূলেরই চোপড়ার বিধায়ক-অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল
সুজালিতে জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়েন চোপড়ার বিধায়ক-কন্যা। 'হামিদুল রহমানের মেয়ে ভোটে হারায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের অনুগামীদের ওপর হামলা', অভিযোগ উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামীদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলিবর্ষণ
সম্প্রতি বারাসাতের (Barasat) কদম্বগাছিতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেও চলেছিল গুলি। তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করার অভিযোগে যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করেছিল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তৃণমূল কর্মী অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও এই ঘটনার প্রতিবাদে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূলের একাংশ। যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের পর অবরোধ (Arrest) ওঠে।
বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে অশান্তি
৩০ আসনের কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৪টি আসন পেয়েছে তৃণমূল।আইএসএফ ৪, কংগ্রেস ও নির্দল একটি করে আসন দখল করে। এরপর গতকাল দলের হুইপ না মেনে, আইএসএফের সমর্থনে ১৬-১৪ ব্যবধানে তৃণমূলের প্রধান পদপ্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী। এরপরই গুলি চলার ঘটনা ঘটেছিল। আইএসএফের (ISF) সমর্থনে বোর্ড গড়া নিয়ে আপত্তি থাকায় যুব তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাহবুব হাসান ওরফে নয়ন গুলি চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, 'অমিত শাহর ছেলে কী করছে ?..', 'পরিবারতন্ত্র' নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ ফিরহাদ,অধীর ও বিমানের
অগাস্টের শুরুতেও TMC-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
অগাস্টের শুরুতেও তৃৃণমূল বনাম তৃণমূল প্রকাশ্যে আসে। যদিও তখন প্রেক্ষাপট ছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। প্রকাশ্যে এসেছিল সেসময় বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বনাম সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের (Sudarshana Mukherjee) অনুগামীদের দ্বন্দ্ব। জানা যায়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ৬৮ নম্বর তৃণমূলের ধর্না চলছিল। ঠিক তখনই পৌঁছোলেন বাবুল সুপ্রিয় । সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের অভিযোগ, বয়স্কদের সরিয়ে দিয়ে মঞ্চে জুতো পরে ওঠেন বাবুল। বাবুল সুপ্রিয় আসতেই একজন গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন, ভাইরাল ভিডিও। বাবুল উত্তেজিত হয়ে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন, মঞ্চে উঠে যান। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় স্টেজ থেকে ওপর থেকে বাবুল তৃণমূল কর্মীদের ছবি তুলছেন। ছবি তুলতে তুলতে হুমকি দেন, দল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার।