৩০০ টাকায় টিকা, পুরসভার সার্টিফিকেট; ভ্যাকসিন জালিয়াতির অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
ডাক্তারের চেম্বারে টাকা দিয়ে নিয়েছেন ভ্যাকসিন। কিন্তু, পানিহাটি পুরসভার প্যাডে দেওয়া হয়েছে সার্টিফিকেট।
পানিহাটি: টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দিয়ে পুরসভার সার্টিফিকেট ইস্যু। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার এক অস্থায়ী মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছেন জেলাশাসক। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাও জানিয়েছেন, এনিয়ে তদন্ত চলছে
ডাক্তারের চেম্বারে টাকা দিয়ে নিয়েছেন ভ্যাকসিন। কিন্তু, পানিহাটি পুরসভার প্যাডে দেওয়া হয়েছে সার্টিফিকেট। শুধু তাই নয়, গ্রাহকের আরও দাবি, দ্বিতীয় ডোজ না পেলেও, সেন্টার থেকে বলা হয়েছে তাঁর ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। দেবাঞ্জনকাণ্ডের পর ভ্যাকসিনেশন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে।
মধ্যমগ্রামের অটো চালক প্রদীপ মজুমদার এই অভিযোগ তুলেছেন। কাঠগড়ায় পানিহাটি পুরসভার অস্থায়ী মেডিক্যাল অফিসার বিপ্লব রুদ্র।
মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, সার্টিফিকেটে পানিহাটি পুরসভার নাম, ৩০০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেয়, দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি, সার্টিফিকেট বেরিয়েছে, অভিযোগ করেছি। বিপ্লব রুদ্রর চেম্বার পানিহাটির ধানকল মোড়ের দু’নম্বর বিবেকানন্দ কলোনিতে। অভিযোগ, এখান থেকেই টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু কীভাবে এমন ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুর-কর্তৃপক্ষ।
তবে, এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত চিকিৎসক। বিপ্লব রুদ্র সাফ জানিয়েছেন তিনি কিছুই বলবেন না। এদিকে, এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলাশাসক। তিনি জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসক কীভাবে একাজ করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, পানিহাটি পুরসভার অস্থায়ী মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ভ্যাকসিনকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার রাতে অভিযুক্ত চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্প নিয়ে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগেই ডায়মন্ডহারবার থেকে ভ্যাকসিন চুরি করে, সোনারপুরে টাকার বিনিময়ে তা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মিঠুন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে। যিনি ডায়মন্ড হারবারের পঞ্চগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট।একইসঙ্গে মশাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন কোঅর্ডিনেটর হিসেবেও কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে আগে দাবি করা হয়, ধৃত ফার্মাসিস্ট এবং ৬ স্বাস্থ্যকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, সরকারি রেকর্ডে কারচুপি করে ৩০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।