Paresh Adhikari Faces Criticism: 'পরেশ অধিকারীর জন্য বাইরে বেরোনো যায় না', খেদ তৃণমূল নেতার
District News: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা। মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকার বললেন, 'পরেশ অধিকারীর জন্য মোবাইল, টিভি খোলা যায় না।'
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তাঁর নিজের দলের নেতাই। চাঁচাছোলা ভাষায় মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকার বললেন, 'পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) জন্য মোবাইল, টিভি খোলা যায় না। বাড়ির বাইরে বেরোনো যায় না।' এতেই শেষ নয়। দলের জেলা সভাপতিকেও কড়া আক্রমণ করলেন তিনি।
কেন সমালোচিত মন্ত্রী?
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। এর মধ্যেই দুর্নীতি মামলায় পরেশ অধিকারীকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই(CBI)। তা ছাড়া কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রিকন্যা অঙ্কিতার চাকরিও (Ankita Adhikari)গিয়েছে ইতিমধ্যে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রথম কিস্তির টাকা ফেরতও দিয়েছেন অঙ্কিতা।
গোটা বিষয়টায় তিনি যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, তা মাথাভাঙার সভায় এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি। কোনও রাখঢাক না করে লক্ষ্মীকান্ত বলেছেন,‘পরেশ অধিকারী এমন সব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত যে বাড়ির বাইরেই বেরোনো যায় না।’সঙ্গে খেদ, 'আমরা মার খেয়ে দল করেছি। আর কোথা উড়ে এসে এঁরা জুড়ে বসেছে।’ হালেই দলের মধ্যে থেকে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্বে বাম আমলে নিয়ম ভেঙে খাদ্য দফতরে নিয়োগের অভিযোগ তোলেন কোচবিহারের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা আলিজার রহমান। গ্রেফতারির দাবিতেও সরব হন তিনি। সেই সময় গোটা বিষয়টিকে বিচারাধীন বলে মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
উল্টো সুর দলেই:
কিন্তু এবার তো প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতির ক্ষোভের নিশানায় খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতিও রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, সব কিছুই জেলা সভাপতির প্রশ্রয়ে হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা সভাপতি অবশ্য এড়িয়ে যান। বলেন, 'কে কী বলেছেন জানি না। তবে দলের বিষয় দলেই আলোচনা করব।'
তবে দলীয় নেতার এমন সমালোচনায় অস্বস্তি বাড়তে পারে তৃণমূলের, মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: 'স্কুলে যোগ দিতে পারলেই লড়াই শেষ, শিক্ষকতা করতে পারব', বললেন ববিতা