Partha Bhowmick: তৃণমূল সাংসদকে হারের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন TMC-রই কর্মী! ভাটপাড়ায় তোলপাড়
West Bengal: দলীয় কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হাজির হয়েছিলেন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু, সেখানেই ব্য়ারাকপুরের তৃণমূলের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে পড়তে হল হারের চ্য়ালেঞ্জের মুখে।
সমীরণ পাল, ভাটপাড়া: দলীয় কর্মীর কাছেই ব্য়ারাকপুরের তৃণমূলের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmick) পড়তে হল হারের চ্য়ালেঞ্জের মুখে। ভাইরাল ভিডিওয় এক তৃণমূল কর্মীকে বলতে শোনা যায়, জুটমিলগুলো যেভাবে চলছে তাতে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩৫ হাজার ভোটে ভাটপাড়ায় হারতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল সাংসদের।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক তৃণমূল কর্মী হিন্দিতে বলছেন, 'কুছ অ্যায়সা ওয়েসা কর দিয়া..তো অভি যো ১৭ হাজার ভোট সে হারে হ্য়ায় ও ৩৫ হাজার ভোট সে হার যাওগে।' বাংলা করলে দাঁড়ায়, ভাটপাড়ায় এখন যে ১৭ হাজার ভোটে হারের ব্যবধান রয়েছে, সেটাই দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩৫ হাজার হয়ে যাবে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
দলীয় কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হাজির হয়েছিলেন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু, সেখানেই ব্য়ারাকপুরের তৃণমূলের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে পড়তে হল হারের চ্য়ালেঞ্জের মুখে। তাও খোদ দলীয় কর্মীর কাছেই।
লোকসভা নির্বাচনে ব্য়ারাকপুরে ৬৪ হাজার ৪৩৮ ভোটে জিতেছিলেন পার্থ ভৌমিক। কিন্তু ভাটপাড়া বিধানসভা এলাকায় ১৭ হাজার ৪৬৩ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
এই ভাইরাল ভিডিওয় এক তৃণমূল কর্মীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, জুটমিলগুলো যেভাবে চলছে তাতে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩৫ হাজার ভোটে হারতে হবে ভাটপাড়ায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় এক কর্মী বলেন, 'কুছ অ্যায়সা ওয়েসা কর দিয়া তো অভি যো ১৭ হাজার ভোট সে হারে হ্য়ায় ও ৩৫ হাজার ভোট সে হার যাওগে।'
এই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ বলেছেন, 'শুধু ব্যারাকপুরে নয়, গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। এই পার্থ ভৌমিক ইভিএম কারচুপি করে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জিতেছেন। ১৭ হাজার কী ৩৫ হাজার হিসেব নিকেশের দরকার নেই, পশ্চিমবাংলায় ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কোনওভাবেই ক্ষমতায় থাকবেন না।'
তৃণমূল নেতা ও ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান দেবজ্য়োতি ঘোষ বলেছেন, 'সাংসদের মনোভাবটা বোঝা উচিত। সাংসদ কতটা পজিটিভি মেন্টালিটি নিয়ে মানুষের কাছে আসছে। সাংসদ শুনতে চাইছে তো। মানুষ যা বলছে শুনছে। সাংসদের বিরুদ্ধেও যদি বলে, সেটাও তো সাংসদ শুনতে চাইছে তো।'
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।