Partha Bhowmik Suvendu Adhikari : পার্থ - শুভেন্দুর তুমুল কথা কাটাকাটি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আনা হবে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস
Partha Bhowmik Suvendu Adhikari War Of Words : তুমুল বাগ্ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী! উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভার অধিবেশন।
কলকাতা : শুক্রবার বিধানসভায় বাগ্ বিতণ্ডার জেরে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনা হবে । বিধানসভার আগামী অধিবেশনে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা হবে নোটিস। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ( Partha Bhowmik ) সঙ্গে শুভেন্দুর তুমুল কথা কাটাকাটি হয়, সেচমন্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) । পরে এ নিয়ে কড়া বার্তা দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
তুমুল বাগ্ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী! উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভার অধিবেশন। শিশিরবাবু কোন দলে রয়েছেন, সেই প্রশ্ন তুললেন পার্থ ভৌমিক! পাল্টা সেচমন্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে! এধরনের কথা বিধানসভায় বলা যায় না। কড়া বার্তা দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
শুক্রবার একাধিক ইস্যুতে যখন সরকারকে চেপে ধরতে রাজপথে নামে বিরোধীরা, তখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভাও। তুমুল বাগ্ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী! শিশিরবাবু কোন দলে রয়েছেন, সেই প্রশ্ন তোলেন পার্থ ভৌমিক! পাল্টা সেচমন্ত্রীকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে!
আরও পড়ুন :
' আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে' আদালতে ঢোকার আগে দাবি শান্তনুর, কার দিকে ইঙ্গিত?
সব মিলিয়ে শাসক-বিরোধী কথা কাটাকাটিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন। সামনেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এদিন এদিন পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চলছিল। বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বক্তব্যের একদম শেষ পর্যায়ে এসে বিজেপির প্রতীকে জিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেওয়া বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে লক্ষ্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এরা কোন দলে আছেন? এরা বিজেপি না তৃণমূল? এরা ভিতরে বিজেপি। বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পরই বিধানসভার ভিতরে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায়।
হিসেব না দিলে, অডিট রিপোর্ট না দিলে, টাকা পাবেন না। একথা বলে নিজের বক্তব্য শেষ করে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। সেইসময় নিজের আসনে বসে সেচমন্ত্রী ও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে বলতে শোনা যায়, শিশির বাবু এখন কোন দলে আছেন? বার তিনেক একই প্রশ্ন করেন সেচমন্ত্রী।
এরপরই পার্থ ভৌমিকের উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এক মাসের মধ্যে জেলে ঢুকিয়ে দেব। তখন পার্থ ভৌমিক উঠে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষের উদ্দেশে বলেন, স্যর আমাকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। বিরোধী দলনেতা পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনি কেন শিশিরবাবুর নাম নিলেন? উনি কি এই হাউজের মেম্বার? এরপর ফের আরেকবার হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়। শুভেন্দুর উদ্দেশে বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, আপনি এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। কে কাকে জেলে পাঠায়? জেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নাকি যে আপনি জেলে পাঠাবেন! বিধানসভায় এসব চলে না। এসব রাস্তাঘাটে হয়।