Partha Chatterjee : 'এক বছর বিনা বিচারে বন্দি, জোর করে আটকে রাখা হয়েছে' দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
Recruitment Scam : পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফের প্রশ্ন তুললেন বন্দিমুক্তি কমিটি কোথায় ?
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ-দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতারির ১ বছর পার হয়ে গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আজ ফের আদালতে পেশ করা হয়। আর সোমবার আদালতে যাওয়ার পথেই দাবি তুললেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ফের প্রশ্ন তুললেন বন্দিমুক্তি কমিটি কোথায় ? কোনওরকম বিচার ছাড়া তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, 'এক বছর বিনা বিচারে বন্দি। এটুকু বুঝেছি, জোর করে আমাকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে।' পাশাপাশি তিনি সরাসরি নাম করেন সুজাত ভদ্র-র (Sujata Bhadra)। যে প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র জানিয়েছেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিক বন্দি নন। কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন। তবে যেহেতু রাজনৈতিক বন্দি নন, তাই আইনি পদ্ধতিতে ওঁনাকে জামিন পেতে হবে।'
যদিও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের ভিত্তিতে রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) বলেছেন, 'বিনা বিচার শব্দটি ভুল। বিচার হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে, কিন্তু তৃণমূলের আস্থা নেই। তাই বিচারপতির বাড়িতে পোস্টার মারে। বিচারপতিকে তাঁর এজলাসের মধ্যে হেনস্থা করে। সুতরাং পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেভাবে কথা বলছেন, অন্য তৃণমূল নেতৃত্বও সেভাবেই কথা বলেন। তৃণমূলই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই তৃণমূল কংগ্রেস।'
বিরোধীরা আক্রমণ শানালেও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। গত বছরের ২২ জুলাই, নাকতলার বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। ১৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, ওই দিন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় ইডি। ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছিল ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। চার দিনের মাথায় অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও মেলে যকের ধনের খোঁজ। এবার সেখান থেকে প্রায় ৩০ কোটি নগদ ও কয়েক কোটি টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীরই গ্রেফতারি, অস্বস্তিতে ফেলে দেয় শাসকদলকে। চাপের মুখে গ্রেফতারির ৬ দিনের মাথায় তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। যারপর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে শাসকদল। যদিও একাধিকবার দলের সঙ্গে থাকার ও দলের ওপর আস্থা রাখার বার্তাই দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী ? আজ রায় দেবে আদালত