(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Partha Chatterjee: জেলের প্রথম রাতে রাজনীতিতে আসা নিয়ে আক্ষেপ, দ্বিতীয় রাতে চুপচাপ পার্থ!
Partha Chatterjee Jail Custody: জেলে দ্বিতীয় রাত চুপচাপ কাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর পাঁচটা বন্দির মতোই ব্যবহার করতে হচ্ছে কমন টয়লেট।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: আদালতের নির্দেশে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলবন্দি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কয়েদি নম্বর 943799। সেল ব্লকর ২ নম্বর সেলে রয়েছেন তিনি। আর পাঁচটা বন্দির মতোই ব্যবহার করতে হচ্ছে কমন টয়লেট। জেলে দ্বিতীয় রাত চুপচাপ কাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কেমন রয়েছেন পার্থ?
সূত্রের খবর, বিকেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন মহিলা আইনজীবী। রাতে রুটি, ডাল, তরকারি খান পার্থ। জেলে এসে প্রথম রাতে তাঁর মুখে রাজনীতিতে আসা নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেলেও, গতকাল চুপচাপই ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। জেল সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা ফুলেছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছেন জেল হাসপাতালের চিকিত্সকরা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেলের যে সেলে রাখা হয়েছে তাকে ‘পয়লা বাইশ’ও বলা হয় জেলের পরিভাষায়। কারণ সেখানে পর পর ২২টি সেল রয়েছে। এখানে বন্দিদের বাড়তি কোনও সুযোগ সুবিধা নেই। তবে সেলের মধ্যে এক কোণায় একটি ছোট্ট টয়লেট রয়েছে। সূত্রের খবর, স্নান করার ক্ষেত্রে সকল বন্দিদের জন্য কমন শৌচাগারই ব্যবহার করতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন, সহকর্মীদের হাসির খোরাকে মনে ক্ষোভ! রাইফেল ছিনিয়ে এনে এলোপাথাড়ি গুলির প্ল্যান অক্ষয়ের
ইডি হেফাজতে থাকাকালীন যে পোশাকগুলি তিনি ব্যবহার করতেই সেই চার সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে জেলেও। দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বই। জেল সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক পাশের সেল ফাঁকা রয়েছে। অপর পাশের সেলটিতে বধূ নির্যাতনের এক বিচারাধীন বন্দি রয়েছেন। তবে এই ব্লকেই রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু, সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন, ছত্রধর মাহাতো, আইএস জঙ্গি মুসা, আফতাব আনসারি ও তার ঘনিষ্ঠ জামালউদ্দিন আনসারি-র মতো হাইপ্রোফাইল বন্দিরা রয়েছেন।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রুটি-ডাল ও সব্জি খেতে দেওয়া হয়। শনিবার সকালে সেলের মধ্যেই পায়চারি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলেননি। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে দাবি, এমনিতেই সেল ব্লকে বাড়তি নজরদারি থাকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এখানে আনার পর সেই নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।