Partha Chatterjee: 'সামাজিকভাবে চরিত্র হনন হচ্ছে, প্রতিদিন এক কথা শুনছি, কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে', জানালেন পার্থ
Partha Chatterjee on Court: বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? সিবিআইয়ের অভিযোগ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সামাজিকভাবে চরিত্র হনন হচ্ছে, আদালতে এমনটাই অভিযোগ পার্থর ।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: মিলল না রেহাই। ফের খারিজ হয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত ৭ জনের জামিনের আর্জি। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে তাঁদের। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সামাজিকভাবে চরিত্র হনন হচ্ছে, আদালতে এমনটাই অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
এদিন, জামিনের আবেদন জানিয়ে, এজলাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এতদিন ধরে জেলে। কোনও কমিটিকে কোনও নির্দেশ দেননি। কোনও বৈঠক করেননি। কোনও কমিটিও তাঁকে কোনওদিন রিপোর্ট দেয়নি। তাহলে কী করে তিনি অভিযুক্ত হচ্ছেন? এরপর তদন্তকারী অফিসারের কাছে কেস ডায়েরি চেয়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, আপনারা অ্য়াকশন নিচ্ছেন না কেন? তদন্তকারী অফিসার মলয় দাস বলেন, যতদিন না চিহ্নিত করতে পারছি, ততদিন অ্য়াকশন নিতে পারছি না।
এরপর, SSC’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হার আইনজীবী বলেন, CBI নিজেই বলছে, আরও তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে বলছে, সরকার চার্জশিট করার অনুমতি দিচ্ছে না। ওঁরা তো নিজেরাই বলছে, তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ না হলে, রাজ্য সরকার কীভাবে অনুমতি দেবে? CBI এক কথা বলছে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, প্রভাবশালী। এর বাইরে কিছুই নেই CBI'এর কাছে।
আরও পড়ুন, 'আমি বদলে গিয়েছি, ভগবান থেকে এখন শয়তান', একটি মামলার শুনানিতে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
পাল্টা, জামিনের বিরোধিতা করে, CBI'এর আইনজীবী বলেন, এই মামলায় অনেকে জড়িত। একটা গোটা চেন রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা শৃঙ্খলের শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে চাই। অনেকের নাম সামনে এসেছে। অনেকের নাম সামনে আনা বাকি আছে। টাকা কোথায় গেল, খুঁজে বের করতে হবে। এরপর, সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, প্রত্যেক ১৪ দিন অন্তর রিপোর্ট জমা দেবে তারা।
এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন ওঠেন, "প্রতিদিন শুনছি, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। শুনে শুনে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? আমার সামাজিকভাবে চরিত্র হনন করা হচ্ছে। এরপর আর কেউ মন্ত্রী হতে চাইবে না। কেউ জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না। মন্ত্রী হওয়া কী অপরাধ? আপনার কাছে বিচার চাই।"