Durgapur Incident: দুর্গাপুরের ঘটনায় ধৃতদের সবারই মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করা হবে, 'সন্দেহের বাইরে নয় কেউ'
Paschim Burdwan News : 'Safe' নয় সহপাঠীও ? দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে এই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে, নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলির গ্রেফতারি।

পার্থপ্রতিম ঘোষ, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলিকে। জিজ্ঞাসাবাদেও ওয়াসেফের বক্তব্য়ে অসঙ্গতি মেলে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। এই নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। ধৃতদের সবারই মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করা হবে।
'Safe' নয় সহপাঠীও ? দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে এই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে, নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলির গ্রেফতারি। দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্য়াল কলেজে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, গণধর্ষণকাণ্ডে শুরু থেকেই সন্দেহের স্ক্য়ানারে ছিল এই সহপাঠীর ভূমিকা। যদিও, নির্যাতিতার যে অভিযোগের ভিত্তিতে FIR হয়, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, রাত ৮টার আগে তিনি বন্ধুর সঙ্গেই বাইরে গেছিলেন। এরপর ৩ জন সেখানে আসে। যাদের দেখে ওই ছাত্রী ও তাঁর সহপাঠী জঙ্গলের দিকে দৌড়ে যান। কিন্তু, ওই ৩ জন ছাত্রীকে ধরে ফেলে। এরপরই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে আরও ২জন সেখানে আসে।
কিন্তু, পুলিশ সূত্রে দাবি, পরে নির্যাতিতার কাছ থেকে জানা যায়, তিনি ও তাঁর বন্ধু ওয়াসেফ একসঙ্গে কলেজ থেকে বেরিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন ওয়াসেফ। এরপরই কয়েকজন সেখানে আসে, যার মধ্য়ে একজন তাঁকে ধর্ষণ করে। এই অভিযুক্তরা তাঁর ফোন নিয়ে এবং টাকা চায় বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, কলেজ ক্যাম্পাসের যে সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করেছে, তাতে দেখা যায়, শুক্রবার সন্ধে ৭টা ৫৮ মিনিট নাগাদ, ওয়াসেফের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোন নির্যাতিতা। রাত ৮টা ৪২ মিনিটে ক্যাম্পাসে একাই ফিরে আসেন ওয়াসেফ। রাত ৮.৪৮ নাগাদ CCTV-তে ফের ক্য়াম্পাস থেকে বেরোতে দেখা যায় তাঁকে। এর ঠিক ৪১ মিনিট পর, দেখা যায় ক্যাম্পাসে একসঙ্গে ঢোকেন নির্যাতিতা এবং তাঁর সহপাঠী ওয়াসেফ আলি। পুলিশ সূত্রে দাবি, নির্যাতিতার যে অভিযোগের ভিত্তিতে FIR হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়, ৫ জন তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল। তাঁরা ছাত্রীকে ফোন দিয়ে বলে তাঁর বন্ধুকে ডাকতে। কিন্তু, তখন তিনি আসেননি।
এখান থেকেই সহপাঠী ওয়াসেফ আলির ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ ঘনাতে শুরু করে। যা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে আরও গভীর হয় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। এরপর মঙ্গলবার রাতেই ওয়াসেফকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এই নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ জনই পুলিশের হেফাজতে। পুলিশ সূত্রে দাবি, কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তিগত যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে এবং নির্যাতিতার যে বয়ান আছে, সেই অনুযায়ী, একজন অভিযুক্ত ধর্ষণ করেছে।" এখন মূল প্রশ্ন হচ্ছে, এই একজন কে? ধৃতদের সবারই মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।






















