Durgapur Incident : দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে আসা ওড়িশার সাংসদ-সহ বিজেপির প্রতিনিধিদলকে বাধা, ধস্তাধস্তি; পরে ছাড়
Odisha BJP : দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সাংসদ-সহ ১০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে।

হিন্দোল দে, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর 'গণধর্ষণ'-কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। ঘটনার চার দিন পরেও এনিয়ে তুঙ্গে চাপানউতোর। ওড়িশার মহিলা কমিশনের পর আজ দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে এলেন বালেশ্বরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ ষড়ঙ্গী-সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু, IQ সিটি হাসপাতালের সামনে ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। ওড়িশা থেকে হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির প্রায় ৩৫ জনের প্রতিনিধিদল। তাতে বালেশ্বরের সাংসদ ছাড়াও, মহিলা মোর্চার সদস্য-সহ অন্য প্রতিনিধিরা আছেন। কিন্তু, নির্যাতিতার সঙ্গে বিজেপি সাংসদকে দেখা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রাথমিকভাবে। তাঁদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ায় সেখানে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সাংসদ-সহ ১০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে।
বাধা পেয়ে হাসপাতালের বাইরে ক্ষোভ উগরে দেন প্রতিনিধির। বালেশ্বরের জেলা বিজেপি কো-অর্ডিনেটর (মিডিয়া) শ্রীনিবাস প্রধান বলেন, "আমাদের এখানে আটকে রাখা হয়েছে। ধস্তাধস্তি করা হচ্ছে। খুব লজ্জার বিষয়। আমাদের মূল দাবি, আমরা এখানে আমাদের মেয়েকে দেখব। ওর অবস্থাটা সত্যিকারের কী ! বাস্তবিক ঘটনাটা কী আমরা দেখতে চাই। বিজেপি থেকে আমরা ৩৫ জন এসেছি। আমাদের তিন বিধায়ক, এক সাংসদ। খুব লজ্জাকর জিনিস। সাংসদ আসার সূচনা আছে আগে। রাজ্য প্রশাসন, ডিজি, জেলা প্রশাসনকে দেওয়া আছে। তারপরেও এক ঘণ্টা হল এখানে ধস্তাধস্তি। আমাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। ছাড়ব না। যে নিরাপত্তারক্ষী আজ দাঁড়িয়ে আছেন, যদি দুদিন আগে দাঁড়াতেন, তাহলে একটা মেয়ের ধর্ষণ হত না। আজ গায়ের জোর দেখাচ্ছে। সেই গায়ের জোরটা যদি অপরাধীদের দেখাত তাহলে বাংলা শান্ত হত। আমার রাজ্যের মেয়ে বলে নয়, প্রত্যেক মেয়ের সুরক্ষা চাই। আজ রাজ্যপালও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের সুরক্ষা বলে কোনও জিনিস নেই। খোদ মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন করছেন...মেয়েরা রাতে বেরোবেন না...তার মানে কী ? মেয়েদের রাতে বেরোনাটা অনুচিত, তার মানে ধর্ষণ করাটা উচিত ? এটা ওঁর বার্তা ? ধর্ষকদের কিছু বলার বার্তা ওঁর কাছে নেই ? নিজে একজন মহিলা, তারপরে উনি বলছেন রাতে মহিলারা বেরোবেন না। এই শিক্ষা দিচ্ছেন ? কোনও একটা অজুহাত দিয়ে গা থেকে দায়িত্ব ঝেরে দেওয়া। উনি যা বলেছেন তাতে লজ্জার কোনও সীমা নেই। নির্মম, নির্লজ্জ না হলে এমন কথা কেউ বলতে পারেন না। কারণ, ওঁর ভোট ব্যাঙ্ক খারাপ হয়ে যাবে। আসল, হচ্ছে ওঁর ভাই-বন্ধু কুটুমরা ধর্ষণ করেছে। সোজা কথা বলছি। দেখা করতে এলে, ভোট-ব্যাঙ্ক খারাপ হয়ে যাবে। উনি (নির্যাতিতার বাবা) চাইছেন, এখান থেকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার । উনি চাইছেন সিবিআই তদন্ত।"






















