Paschim Medinipur: মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার শতাধিক বন্দুক, হাজারের বেশি কার্তুজ; এলাকায় চাঞ্চল্য
Paschim Medinipur: বাম জমানায় মজুত রাখা বন্দুক, অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। পুলিশ সূত্রে খবর, বন্দুকগুলি অনেক বছরের পুরোনো।
সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: গোয়ালতোড়ে মাটি খুঁড়তেই সারি সারি বন্দুক, গুলি। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে মাটি কাটার সময় অস্ত্রের হদিশ। মাটির তলা থেকে শতাধিক বন্দুক, হাজারের বেশি সিল করা কার্তুজের হদিশ মেলে। মাটির তলায় ১৫-২০ বছর আগের বন্দুক, অনুমান পুলিশের। বাম জমানায় মজুত রাখা বন্দুক, অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। পুলিশ সূত্রে খবর, বন্দুকগুলি অনেক বছরের পুরোনো। উচ্চপদস্ত আধিকারিকরা এসে তদন্ত শুরু করবেন। পুরোদমে চলছে তল্লাশি। ‘প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার কয়েকটি খারাপ হয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র’, মোট ৩৬টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৪৫০টি আগ্নেয়াস্ত্রের অংশ উদ্ধার, জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
ঠিক কী হয়েছে?
জানা গিয়েছে মাটি সমানের কাজ চলছিল গোয়ালতোড়ের ওই এলাকায়। জেসিবি করে যখন মাটি তোলা হচ্ছিল সেই সময় সেখান থেকে দুটো ভাঙা বালতি আর এরপর একটি বন্দুক ভর্তি ব্যাগ উঠে আসে। এরপর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। গোয়ালতোর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। এরপর খুঁড়তেই আরও আরও বন্দুক, তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। এখনও খোঁড়ার কাজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় শতাধিক কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছে যে, এই কাজ বাম জমানার। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, যদিও এই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে আমি বলব এক দশক আগে যখন একটা দল বুঝে যায় যে বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে, সেই সময়ই এসব লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এখনও এব্যাপারে সিপিএমের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, এখানে অস্ত্র রাজনীতি কখনই হয়নি। এখানে কোনও ক্যাম্পও ছিল না আমাদের। মিথ্যে রাজনীতি করতেই এই দোষারোপ।
কেশপুরের তৃণমূলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, "এইসব জায়গায় হার্মাদ বাহিনীদের দাপট ছিল। তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর একাধিক অর্থ উদ্ধার হয়। কেশপুর থেকেই ট্রাঙ্ক ট্রাঙ্ক অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওখানে হার্মাদদের ক্যাম্প ছিল। এখন তাই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে।" কেশপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, এই ঘটনার বিষয়টি আগে জেনে নেই। আন্দাজে কিছু বলা ঠিক নয়।