Paschim Medinipur News: একই ওড়নায় ফাঁস, চন্দ্রকোনার জঙ্গল থেকে দুই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য !
Chandrakona Forest: ওড়নায় দুই জনকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। মৃতদেহে চারপাশে ছড়িয়ে ছিল মোবাইল ভাঙার টুকরো।
সোমনাথ দাস, চন্দ্রকোনা (পশ্চিম মেদিনীপুর) : চন্দ্রকোনার জঙ্গল থেকে দুই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। একসঙ্গে ওই দুই যুবতীর দেহ উদ্ধার হওয়ায় ঘটনা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। চন্দ্রকোনায় বাড়ি এক মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, দুই যুবতীকে কেউ মেরে টাঙিয়ে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।
এদিন সাতসকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চন্দ্রকোনার একটি জঙ্গল থেকে দুই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। চুড়িদারের একটি ওড়নায় দুই জনকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। মৃতদেহে চারপাশে ছড়িয়ে ছিল মোবাইল ভাঙার টুকরো। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দুই যুবতীর মধ্যে একজন চন্দ্রকোনা থানা এলাকার বাসিন্দা ও অপরজন গোঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
চন্দ্রকোনায় বাড়ি ওই যুবতীর দিদি জানান, তাঁদের এক বোনের বিয়ে হয়েছে গোঘাট থানা এলাকায়। সেই সূত্রে তাঁর এই বোনের গোঘাটে যাতায়াত ছিল। সেখানকার এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় গড়ে ওঠে। সেখান থেকেই তাঁদের ঘনিষ্ঠতা। গোঘাটের ওই যুবতী একাধিকবার তাঁদের বাড়িতে এসেছেন বলে চন্দ্রকোনার যুবতীর পরিবারের দাবি। দু'জনে মহিলা হওয়া সত্ত্বেও একে অপরকে 'বিয়ে' করে নেন। আর এই বিষয়টি মেনে নেয়নি তাঁদের পরিবার, এমনই দাবি ওই আত্মীয়ের। এমনকী তাঁর বোন আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
গোটা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনো বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে না পুলিশ।
২০২২ সালে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুরে (Bhagabanpur)। স্থানীয় শ্মশানে একটি বাবলা গাছ থেকে পাওয়া যায় এক মহিলা ও এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। একই শাড়ির দুই প্রান্তে ঝুলছিল দু’টি দেহ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল জীবন থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মহিলার পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক মানতে রাজি হননি। তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের পরেও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মৃতার। বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মানতে রাজি ছিলেন না। এরপর নিখোঁজ ছিলেন এই মহিলা। পরে প্রেমিকের সঙ্গেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।