PM Narendra Modi: 'রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে তৃণমূল,' বাংলায় এসে আক্রমণ মোদির
SSC Job Loss: দুর্নীতির জেরে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের SSC-র গোটা প্য়ানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাতে শিক্ষক সহ ২০১৬-র SSC-র গ্রুপ C ও গ্রুপ D কর্মীদের চাকরি চলে গিয়েছে।

আলিপুরদুয়ার: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে SSC মামলায় চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজারের। যা নিয়ে এবার তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদি। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল।''
দুর্নীতির জেরে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের SSC-র গোটা প্য়ানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাতে শিক্ষক সহ ২০১৬-র SSC-র গ্রুপ C ও গ্রুপ D কর্মীদের চাকরি চলে গিয়েছে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাও বিচারাধীন। আর এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। এদিন নরেন্দ্র মোদি বলেন, "ভ্রষ্টাচারের সবথেকে খারাপ প্রভাব পড়ে যুব সম্প্রদায়ের উপর। গরিব এবং মধ্যবিত্তরা এর ফল ভোগ করে। কীভাবে চারদিক থেকে বরবাদ করে দেওয়া যায়, সেটা আমরা শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে দেখেছি। তৃণমূল সরকার শাসনকালে হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্য়ত নষ্ট করে দিয়েছে। ওঁদের পরিবার, সন্তানদের শেষ করে দিয়েছে। তৃণমূল বাংলার ছেলেমেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এটা শুধু কয়েক হাজার শিক্ষকের জীবন নিয়ে খেলার বিষয় নয়, রাজ্যের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দিচ্ছে। শিক্ষকদের উপর লক্ষ লক্ষ শিশু নির্ভরশীল। তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেছে। এখনও নিজেদের অন্যান্য স্বীকার করছে না। উল্টে আদালতকে দোষী বলছে।''
এদিকে এদিন আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থী ছিলেন উত্তরবঙ্গের চাকরিহারারা। সেখানে অনুমতি মেলেনি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন, অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে দরবার, কোনওটাই ফলপ্রসূ না হওয়ায় হতাশ চাকরিহারারা। আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি, পরীক্ষা যেন আমাদের দিতে না হয়, তার জন্য আইনি পথে আপনি কীভাবে বাঁচাবেন, ওটা এক নম্বরে থাকা উচিত, এক নম্বরে পরীক্ষা নয়। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের শোচনীয় অবস্থাটা তুলে ধরা দরকার যে, দেশের মধ্যে থেকেও আজকে আমরা অন্যায়-অবিচারের শিকার।'' পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে চাকরিহারারা জানিয়েছেন।






















