Poila Boisakh 2022: বাংলা ক্যালেন্ডারে নতুন বছর ১৪২৯, আজ পয়লা বৈশাখ
বাংলা বছরের প্রথম দিনটাকে হালখাতা হিসেবে পালন করেন ব্যবসায়ীরা। আগের বছরের দেনা-পাওনার হিসেব সমন্বয় করে এদিন নতুন করে হিসেবের খাতা খোলেন তাঁরা।
কলকাতা: আজ পয়লা বৈশাখ (Poila Boisakh 2022)। ১৪২৮-কে বিদায় জানিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারে নতুন বছর ১৪২৯। নতুন জামা, গঙ্গাস্নান, দোকানে দোকানে হালখাতা৷ শুভেচ্ছা-মিষ্টিমুখ-গান-আড্ডা। করোনাকালের উদ্বেগ কাটিয়ে নববর্ষের আবাহনে মেতেছে গোটা বাংলা৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নতুন বছরের আনন্দ৷ কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি থেকে তারাপীঠ, মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন।
আজ পয়লা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের সকাল থেকেই তারাপীঠে ভক্ত সমাগম। হাতে হালখাতা, পুজোর ডালি নিয়ে সকাল থেকে মন্দিরে ভিড়। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। নতুন বছরের শুভকামনা নিয়ে মায়ের উদ্দেশে পুজো দিচ্ছেন তাঁরা।
হালখাতা: হালখাতা আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি। পুরনো হিসেবের খাতা বন্ধ ও নতুন হিসেবের খাতা খোলার আনন্দ-আয়োজন, সঙ্গে আপ্যায়ন ও আনুষ্ঠানিকতার নামই হালখাতা। প্রত্যেক চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সব খাজনা, মাসুল বা কর পরিশোধ করা হতো। এর পরের দিন পয়লা বৈশাখে ভূমির মালিকেরা নিজেদের অঞ্চলের প্রজা বা অধিবাসীদের মিষ্টি, পান-সুপারি দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। সময়-সুযোগ আর পরিবেশ মিলে যোগ-বিয়োগ ঘটে অনেক ঐতিহ্যের। কিন্তু কিছু ঐতিহ্যের শিকড় এত গভীরে যে আধুনিকতার শত ঝাপটায়ও টিকে থাকে প্রাচীন বটবৃক্ষের মতো। তেমনই একটি বিষয় হল হালখাতা।
বাংলা বছরের প্রথম দিনটাকে হালখাতা হিসেবে পালন করেন ব্যবসায়ীরা। আগের বছরের দেনা-পাওনার হিসেব সমন্বয় করে এদিন নতুন করে হিসেবের খাতা খোলেন তাঁরা। এই উপলক্ষ্যে নববর্ষের প্রথম দিনে দোকানে আসা ক্রেতাদের মিষ্টিমুখও করান তাঁরা। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে হালখাতা উদযাপন। হালখাতা বাঙালি ঐতিহ্য ও ইতিহাসের একটি অংশ। তবে বর্তমান সময়ে হালখাতার উদযাপন আগের থেকে অনেকটাই কমে এসেছে। আগে রীতিমত নিমন্ত্রণ পত্র ছাপিয়ে উত্সবের আয়োজন করতেন ব্যবসায়ীরা। এখনও অনেক জায়গাতেই দোকান পরিষ্কার করে, ফুল দিয়ে সাজিয়ে, লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করে শুরু হয় হালখাতা। তবে দিনকাল বদলেছে ৷ অনলাইন শপিং, ই-ব্যাঙ্কিংয়ের দাপটের যুগে হালখাতা এখন আগের মতো পালন না হলেও এই ঐতিহ্য পুরোপুরি ভুলে যাননি কেউই ৷