Kaustav Bagchi: কৌস্তভ বাগচীর এলাকাজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার, দায় নিতে নারাজ তৃণমূল
গভীর রাতে ব্য়ারাকপুরের বাড়ি থেকে কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্য় রাজনীতি উত্তাল।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এবার ব্যারাকপুরে কৌস্তভ বাগচীর এলাকাতেই তাঁর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচির মন্তব্য করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যারা পোস্টার দিয়েছেন, তারাই হয়ত কয়েকদিন পর দীপক ঘোষের বইয়ের PDF চাইবেন। মন্তব্য করেছেন কৌস্তভ। যদিও পোস্টারের দায় নিতে নারাজ তৃণমূল ।
গভীর রাতে ব্য়ারাকপুরের বাড়ি থেকে কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্য় রাজনীতি উত্তাল । জামিন পেয়ে কৌস্তভও বুঝিয়ে দিয়েছেন, পিছু হঠার প্রশ্ন নেই! বরং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণ আরও ধারাল হবে! এই প্রেক্ষাপটে ব্য়ারাকপুরে কৌস্তভের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার! ব্যারাকপুর স্টেশন চত্বর থেকে শুরু করে আনন্দপুরী, এমনকী কৌস্তভের এলাকা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডেও পড়েছে পোস্টার।
যেখানে লেখা হয়েছে - মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে আমাদের এলাকার সংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন কৌস্তভ বাগচী । ব্যারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে, দাবি করা হয়েছে এখানে। কৌস্তভ অবশ্য় তৃণমূলের দিকেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন!
কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর কথায়, কারা দেয় এগুলি, হিম্মত থাকলে নাম দিয়ে দিক না। তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেই বিরোধ, অনেকে হোয়াটস্যাপে ফোন করছে, বাড়িতে আসছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে সবাই এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছে। সবাই বই চাইছে আমার কাছে।তো এটা কী বয়কট হচ্ছে? যারা এগুলি করাচ্ছে, তারাই দেখবেন কয়েকদিন পর আমার কাছে এসে PDF চাইবে। কৌস্তভের গ্রেফতারি এবং জামিন কংগ্রেস শিবিরে নতুন করে অক্সিজেন জুগিয়েছে। এই ইস্য়ুকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের সঙ্গে পথে নেমেছে বামেরাও। এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনে এবার নতুন মাত্রা যোগ করল পোস্টার !
বিধানসভায় গেলেন নৌশাদ সিদ্দিকি: ৪২ দিন জেলে থাকার পর, ভাঙড়ে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে ভেঙে যাওয়া গাড়ি নিয়ে বিধানসভায় গেলেন নৌশাদ সিদ্দিকি । তিনি পণ নিলেন, তৃণমূল সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ভাঙা গাড়িই ব্যবহার করবেন । এর দুদিন আগেই কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী গ্রেফতারির পর জামিন পেয়ে মাথা ন্য়াড়া পণ নেন যে, তৃণমূলকে উৎখাত না করা পর্যন্ত তিনি মাথায় চুল গজাতে দেবেন না। এই সিদ্ধান্তে তিনি পাশে পেয়েছেন প্রেমিকা প্রীতি করকে ।






















