Primary School Scam: ২৬ ডিসেম্বর প্রাথমিক দুর্নীতিতে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন, কালকের মধ্যে সব নথি জমা দেবে ED
Kolkata News: মঙ্গলবারই আদালতে তীব্র ভর্ৎসিত হয় ED. কেন এখনও পর্যন্ত সব নথিপত্র আইনজীবীদের দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা: প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় ২৬ ডিসেম্বরই চার্জ গঠন হবে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় (ED) চার্জ গঠন হবে। শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই নন, ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হবে চার্জ গঠন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব নথি জমা দেবে ED. সব অভিযুক্তকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শীতকালীন ছুটিতেও বন্ধ থাকবে না আদালত। রবিবার ছাড়া রোজ শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবারই আদালতে তীব্র ভর্ৎসিত হয় ED. কেন এখনও পর্যন্ত সব নথিপত্র আইনজীবীদের দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের ঢিলেমিতেই চার্জ গঠনে দেরি হচ্ছে বলে জানায় আদালত। প্রয়োজনে রাত জেগে কাজ করে, বুধবার দুপুর ২.৩০টের মধ্যে বাড়ি গিয়ে সকলের হাতে নথিপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার চার্জ গঠন করা যায়নি। তাই আগামী ২৬ ডিসেম্বর ৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ব্য়াঙ্কশাল কোর্ট। তার জন্য ওই দিন ২৭টি সংস্থার প্রতিনিধি এবং মামলায় নাম থাকা ২৭ জনকেই আদালতে হাজির থাকতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। মধ্যাহ্নভোজের আগে শুনানির সময় আইনজীবীরা, বিশেষ করে সুশীল মোহতার আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র পার্থর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের কথা বলেছিল। তাহলে বাকিদের কেন জড়ানো হচ্ছে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সেই যুক্তি খারিজ করে বিচারক জানান, শুধুমাত্র পার্থর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হলে গোটা বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে না। তাই বিচারকের নির্দেশ, ৫৪ জনের বিরুদ্ধেই চার্জ গঠন করতে হবে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে পার্থ, কুন্তল ঘোষ, কালীঘাটের কাকু, তাপস মণ্ডলরাও। ফের যাতে চার্জ গঠনে দেরি না হয়, তার জন্যও এমন নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সকালে শুনানি চালাকালীন ভর্ৎসিত হয় ED. বুধবার পার্থর বিরুদ্ধে চার্জগঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন যখন শুনানি শুরু হয়, আইনজীবীরা আদালতে জানান, তাঁরা এখনও পর্যন্ত সমস্ত নথি হাতে পাননি। পেনড্রাইভে কিছু নথি দিলেও, ডিজিটাল নথি এবং অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য নেই, যা বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য জরুরি। এর পর বিচারক শুভেন্দু সাহা তদন্তকারীদের প্রশ্ন করেন। জানতে চান, কেন এখনও সব তথ্য দেওয়া গেল না।
এতে ED-র আইনজীবী জানান, একাধিক মোবাইল ফোন থেকে কিছু তথ্য বের করতে হবে। সেখানে কিছু 'সেন্সিটিভ' তথ্যও রয়েছে, যা হাতবদল করতে চান না তাঁরা। এতে বিচারক প্রশ্ন করেন, "ওই তথ্য বাদ দিয়ে কেন দিচ্ছেন না? কী করে শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া? আপনাদের জন্যই কিন্তু চার্জগঠনে দেরি হচ্ছে! কেন আগে বলেননি যে এখনও সমস্ত তথ্য আইনজীবীদের দিতে পারেননি?"
বিচারপতি প্রথমে জানান, আজ সন্ধের মধ্যেই সমস্ত তথ্য দিতে হবে। কিন্তু ED-র তরফে জানানো হয়, মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত তথ্য বের করতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে এর পর বিচারক বলেন, "এখন কাজ শুরু করলে রাত ২টোর মধ্য কাজ শেষ হবে। দরকারে রাত জেগে কাজ করুন। আগামী কাল দুপুর ২.৩০টের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সব পক্ষের কাছে নথি পৌঁছে দিয়ে আসুন। মোবাইলে ফোন করে ডাকবেন না, মোবাইলে পাঠাবেন না। বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসুন।" শীতকালীন ছুটিতেও কোর্ট বসবে বলে জানা গিয়েছে।
সবিস্তার আসছে