(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Primary Recruitment Case: প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে
Calcutta High Court:বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা গেল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে। বদল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার্য বিষয়ে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা:বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) কাছ থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা গেল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে (Justice Rajasekhar Mantha)। বদল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার্য বিষয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত (Primary Recruitment Cases Transferred) মামলা গেল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে। এখন থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শ্রম ও শিল্প সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে।
আর যা...
এদিনই বিচার্য বিষয় বদলের পর উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। ২ বিচারপতির সংঘাতের পর প্রথম মুখ খুললেন বিচারপতি সেন। বললেন, 'এই আদালত অপমানিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে বলার অধিকার সবার আছে, কিন্তু বিচারপতির অধিকার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। কোনও মামলাতেই আমরা আলাদা করে উৎসাহী নই।' আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি শুধু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কিছু বলতে চাই।' বিচারপতি সেন তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, 'দয়া করে কিছু বলবেন না। আমাদের কাউকে কিছু বলার নেই। সকলকে শ্রদ্ধা করি। আমার এই অভ্যাস নেই। এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালাম।'
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য...
২ বিচারপতির সংঘাত নিয়ে মঙ্গলবারই নাম না করে মুখ খোলেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, 'আইনের মন্দিরে এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। দেশের প্রথম সারির হাইকোর্টে এই ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ঘটলে তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে। এই ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত, লজ্জিত।' ঘটনাচক্রে ২৫০-রও বেশি আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন, 'এজিকে উদ্দেশ করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।' প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজ মামলায় CBI রায় নিয়ে সংঘাত বেধেছিল দুই বিচারপতির। মেডিক্যাল কলেজ মামলায় সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর খারিজ করা হয়। এফআইআর খারিজ করেছিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। 'আদালত থেকে সংগৃহীত নথি ফেরত দিতে হবে সিবিআইকে', নির্দেশ দেয় বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্টোদিকে এই নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 'ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অবৈধ, তাই তার এফআইআর খারিজ হবে না, সিবিআই অবিলম্বে তদন্ত শুরু করবে', মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিবিআইকে দু'মাসের মধ্যে তদন্ত শেষের নির্দেশও দেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের এই সংঘাত নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত করে পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন হয়। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুও ছিলেন সেই বেঞ্চে। গত কাল, প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ জানায় মেডিক্যালে ভর্তি দুর্নীতি মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরানো হল সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন:কোনও মামলাতেই বাড়তি আগ্রহ নেই', উচ্চ প্রাথমিক মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি সেন