Primary TET Exam: পরীক্ষায় পাশ না করেও চাকরি! প্রাথমিক টেটেও দুর্নীতির অভিযোগ, মামলা হাইকোর্টে
Calcutta High Court: মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে টেট হয়েছিল, তাতে ৮৬ জন পরীক্ষার্থী পাশ না করেও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করছেন।
সৌভিক মজুমদার, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে SSC নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মোট ৮টি মামলার তদন্ত করছে CBI। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ।সেই আবহেই এ বার ২০১৪-র প্রাইমারি টেটেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হল আদালতে।
প্রাথমিক টেট মামলাও এ বার হাইকোর্টে
মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে টেট হয়েছিল (Primary TET Exam), তাতে ৮৬ জন পরীক্ষার্থী পাশ না করেও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করছেন। সময় নষ্ট করলে মামলার সেইসব তথ্যপ্রমাণ সংক্রান্ত নথি নষ্ট হতে পারে বলে এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন মামলাকারীর আইনজীবী।
এরপরেই মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমতি ও শুনানির নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে দুপুর আড়াইটে নাগাদ, শুনানি শুরুর সময় মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। এর পরই বিচারপতি জানিয়ে দেন, বুধবার দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : 'আমি বলি ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও' হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি একের পর এক মামলায় আদালতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ২০১৪-র প্রাইমারি টেট মামলা আদালতে পৌঁছলে যদিও তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি দল। এর আগে এসএসসি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাড়ে দোষ ঠেলতে দেখা গিয়েছিল দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। এ দিন যদিও তিনি বলেন, "যা ভুল তা ভুল, যা ঠিক তা ঠিক, বিচার বিভাগীয় বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।"
SSC’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে শিক্ষকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে। মন্ত্রী কন্যাকে ৪১ মাসের বেতনবাবদ পাওয়া টাকাও ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার সিদ্দিক গাজি নামে আরও এক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ওই ব্যক্তি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মুর্শিদাবাদের সলুয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। আ
আরও এক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ
গত বছর, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন SSC’র চাকরিপ্রার্থী অনুপ গুপ্ত। তিনি অভিযোগে বলেন, মেধা তালিকায় ২০০ নম্বরে থাকলেও, তিনি চাকরি পাননি। কিন্তু, মেধা তালিকায় ২৭৫ নম্বরে থাকা সিদ্দিক গাজি চাকরি পেয়েছেন। এই মামলাতেই সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা চাকরি বাতিল করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন।