Jhalda Municipality : জেলাশাসকই ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে, ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে অস্বস্তি কংগ্রেসের
Calcutta High Court : এর আগে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হয়। ঝালদা পুরসভা চালানোর দায়িত্বভার জেলাশাসককে দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ।
কলকাতা : ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality Corporation) সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অস্বস্তি কংগ্রেসের (Congress)। পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন জেলাশাসকই, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ। এর আগে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হয়। ঝালদা পুরসভা চালানোর দায়িত্বভার জেলাশাসককে দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ।
সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় কংগ্রেস। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। জেলাশাসককে পুরসভার মাথায় বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানায় তারা। রাজ্যের প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তর ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হার। পরিবর্তে জেলাশাসককে পুরসভার দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ কংগ্রেসের আইনজীবীদের।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয় তৃণমূলের (TMC), আস্থা ভোটে তৃণমূলকে টেক্কা দেয় কংগ্রেস (Congress)। ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন করেন কংগ্রেসকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ২ নির্দল কাউন্সিলরের তলবি সভায় তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ধাক্কা তৃণমূলের। তাহেরপুরের পর ঝালদা পুরসভাও বিরোধীদের দখলে। হাইকোর্টের নির্দেশে, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় হয় আস্থা ভোট। ঝালদা শহরজুড়ে জারি হয় ১৪৪ ধারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঝালদা পুরসভার ২০০ মিটারের মধ্যে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। গত ১৩ অক্টোবর, তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেন বিরোধী কাউন্সিলররা। বিরোধীদের তলবি সভা ডাকা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে ঝালদা পুরসভায় তলবি সভা ও আস্থা ভোট। কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর বাড়িতে জড়ো হন বাকি কংগ্রেস কাউন্সিলররা। এখান থেকেই দল বেঁধে তাঁরা পুরসভায় যান।
পুরুলিয়ার ঝালদায় ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তপন কান্দু। কংগ্রেস প্রার্থী তপন ১২৭ ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে, যিনি কিনা তাঁর নিজের ভাইপো। তার পর গত ১৩ মার্চ খুন হয়ে যান তপন। সঙ্গীদের সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান। এ যাবৎ ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কখনও জেতেনি তৃণমূল। এদিকে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কাকা তপন কান্দুর আসনে জয়ী হন ভাইপো মিঠুন কান্দু।ওই আসন ধরে রাখলেও বোর্ড গড়তে পারেনি কংগ্রেস। তারপর থেকেই ঝালদা পুরসভা নিয়ে জারি টানাপড়েন।