Purba Bardhaman News: গ্যাসকাটার দিয়ে এটিএম ভেঙে লুঠ, পুলিশি টহলের দাবি স্থানীয়দের
রবিবার ভোর চারটে নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান (Bardhaman) থানার পুলিশ
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান (Bardhaman) থানার আকড়বাগান মোড় এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে (ATM) দুষ্কৃতী হামলার খবর পাওয়া গেল। গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএমের ভল্ট ভেঙে লুঠ করার পর এটিএম মেশিনেও আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
এটিএমে দুষ্কৃতী হামলা-
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। তখনও এটিএমের মেশিনে আগুন জ্বলছিল। এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে দমকলে খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্ছলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এই লুঠের ঘটনা কোনও পেশাদার এটিএম লুঠ করা দুষ্কৃতীদের কাজ। জানা গিয়েছে, লুঠের আগে এটিএমের বাইরের সিসিটিভি ক্যামেরার তার কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা। এর পাশাপাশি এটিএমের ভিতরের সিসিটিভি ক্যামেরায় বিশেষ ধরনের স্প্রে জেল লাগিয়ে দেয় তারাষ তারপরই গ্যাস কাটারের সাহায্যে এটেএমের ভল্ট ভেঙে টাকা লুঠ করে চল্পট দেয় দুষ্কৃতী দল। কত টাকা খোয়া গিয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, পুলিশের অনুমান এটিএমে টাকা অবশ্যই ছিল। পাশাপাশি এটিএমে অগ্নি সংযোগের ঘটনা কীভাবে ঘটল, সে বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - Burdwan : "পার্টির ছেলেরা পয়সা নিয়ে রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়েছে", প্রশাসনিক অভিযানে মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের
রবিবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায় সহ অনান্য পুলিশ আধিকারিকরা। জনবহুল এলাকায় এইভাবে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর দেড়েক আগেও এই এটিএমে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। তাই এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা পুলিশি টহলের দাবি জানিয়েছেন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।