Burdwan: বর্ধমানে একের পর এক বাড়িতে চুরি, চৌর্যবৃত্তি রুখতে কঠোর সিদ্ধান্ত পুলিশের
Burdwan News: সম্প্রতি বর্ধমান শহর জুড়ে একের পর এক চুরি হয়েই চলেছে। রীতিমত চাপের মুখে পুলিশ।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: শহর বর্ধমানে (Burdwan) কয়েক মাসে একের পর এক চুরির ঘটনা ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানায় বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ পুলিশের। বর্ধমান থানার আইসি মাইক হাতে শহরজুড়ে মাইকিং করলেন এই উদ্দেশে। সম্প্রতি বর্ধমান শহর জুড়ে একের পর এক চুরি হয়েই চলেছে। রীতিমত চাপের মুখে পুলিশ (Police)। আর এই অবস্থায় পুলিশী তদন্তে বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে নানা সন্দেহের কাহিনি উঠে আসছে। বর্ধমান শহর জুড়ে কয়েক মাসে একাধিক চুরি সহ শহর জুড়ে দুষ্কৃতিদের গতিবিধি নজরে রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিল বর্ধমান থানার পুলিশ।
বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী নিজে মাইক হাতে রাস্তায় নামলেন এদিন। বর্ধমান শহরের একাধিক জায়গায় মাইক হাতে ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে সচেতন করেন সাধারণ মানুষকে। জানান হয়, প্রত্যেক বাড়িওয়ালাকে বর্ধমান থানা থেকে নির্দিষ্ট রেজিষ্টেশন ফর্ম নিয়ে এসে তা পূরণ করে জমা দিতে হবে থানায়। তার সঙ্গে থাকবে ভাড়াটিয়ার বিশদ বিবরণ, সচিত্র পরিচয়পত্র। নতুন ও পুরনো বাড়িওয়ালা প্রত্যেককেই নির্দেশ মানতে হবে বলে মাইকিং করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ঘটনা ঘটে। সেখানেই ভাড়াটিয়া তত্ত্ব উঠে আসে। কলকাতায় সাপুরজি আবাসনেও এই ধরণের ঘটে। শুধু তাইই নয়, বর্ধমান থানা এলাকায় গড়ে উঠছে প্রচুর আবাসন। এই সমস্ত আবাসনে কে থাকছেন তার কোনো হদিশ থাকছে না। ফলে দুষ্কৃতিরা দুষ্কর্ম করে অনায়াসেই লুকিয়ে থাকতে পারেন এই সমস্ত এলাকায়।
খাগড়াগড় কাণ্ডের পরও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরণের ভাড়াটিয়াদের তথ্য রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও সেটা বেশী দিন স্থায়িত্ব হয়নি। সম্প্রতি গোটা শহর জুড়ে চুরির ঘটনা বাড়তে থাকা এবং অপরাধীরা লুকিয়ে পড়ায় টনক নড়েছে জেলা পুলিশের। আর তাই এবার কড়া পদক্ষেপের পথে বর্ধমান থানার পুলিশ সম্পূর্ণ ভাড়াটিয়াদের তথ্য হাতে রাখতে চাইছে।
এদিকে, পুলিশের এই ঘোষণায় খুশি বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। পুলিশের এটা অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। এতে ভাড়াটিয়া এবং বাড়ির মালিক সকলেই ভাল থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। শহরের নিরাপত্তা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন,শহরজুড়ে বেড়ে চলা চুরির তদন্তে নেমে দেখা যায় যে বাইরে থেকে লোকেরা এসে শহরে রেইকি করে চুরির করার পর আত্মগোপন করছেন।সেক্ষেত্রে তারা পরিচয় গোপন করে শহরেই ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকছেন।তাই চুরি রুখতে প্রাথমিকভাবে ভাড়াটিয়া সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য যাতে পুলিশের কাছে থাকে তা সুনিশ্চিত করতে প্রত্যেক বাড়ির মালিককে ভাড়াটিয়া সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য থানার মাধ্যমে প্রদত্ত ফর্ম ফিলাপ করে জানাতে বলা হচ্ছে ও তাদের নথিও জমা দিতে বলা হচ্ছে।এই নিয়ে শহরজুড়ে জেলাপুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং ও করা হচ্ছে।এতে চুরি যেমন কমবে তেমনি শহরের নিরাপত্তাও বাড়বে বলে তিনি জানান।