East Bardhaman News: বদলি হয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক, আটকাতে পথে অভিভাবক-পড়ুয়ারা
East Bardhaman Student Guardians Protest On Teacher Transfer: স্কুলে ৬৭ জন পড়ুয়ার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৪ জন, শিক্ষকের 'বদলি' আটকাতে পথে নামলেন অভিভাবকরা..
![East Bardhaman News: বদলি হয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক, আটকাতে পথে অভিভাবক-পড়ুয়ারা East Bardhaman Ausgram Student Guardians protest on Teacher transfer due to insufficient teachers in Primary School East Bardhaman News: বদলি হয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক, আটকাতে পথে অভিভাবক-পড়ুয়ারা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/07/24/302d516c554d25a4a7b86d682b1be2b51721836128333484_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: 'দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি, বেলা দ্বিপ্রহর..' এযেনও 'যেতে নাহি দিব..'। শিক্ষকের বদলি আটকাতে পথে নামলেন অভিভাবকরা। তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হল স্কুলের পড়ুয়ারাও। অভূতপূর্ব ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অভিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু কেন ?
শিক্ষকের 'বদলি' আটকাতে পথে নামলেন অভিভাবকরা !
বিক্ষোভের পাশাপাশি স্কুল খোলার আগেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল গেটে। দাবি ওই শিক্ষককে তাঁদের স্কুলেই বহাল রাখতে হবে। একে স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা অনুযায়ী, শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা কম। তার উপর অভিভাবকদের কথাতেই স্পষ্ট, পছন্দের ওই শিক্ষককে তাঁরা কোনও মতেই হারাতে চান না।এরপরেই শিক্ষকের বদলি আটকাতে পথে নামলেন অভিভাবকরা।
'যেতে নাহি দিব'
স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৭ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৪ জন। জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে মঙ্গলচণ্ডী পাল নামে ওই স্কুলের এক সহ-শিক্ষকের বদলির নির্দেশ এসেছে। স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে এলাকার কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকার বদলির নির্দেশের তালিকা প্রকাশ হয়। এরপর যখন স্থানীয়রা দেখতে পান। তাতে নাম রয়েছে মঙ্গলচণ্ডী পাল নামে অভিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের। তখনই এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা জড়ো হন স্কুলের সামনে। অভিভাবকরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। পড়ুয়ারাও বিক্ষোভে সামিল হয় তাঁদের প্রিয় শিক্ষকের বদলি আটকাতে।
আরও পড়ুন, ৪০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, মৎসজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ, আগামীকাল কেমন আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে ?
এই প্রেক্ষাপট যদিও আলাদা। তবে পৃথক কারণেই সেবার বদলির নোটিস এসেছিল। গতবছর মার্চ মাসে ডিএ আন্দোলনের মধ্যেই ১০ অফিসারের বদলি করা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ থেকে ৪ অফিসারকে বদলি করা হয়েছিল নবান্নে। নবান্ন থেকে ৬ অফিসারকে বদলি করা হয়েছিল প্রত্যন্ত এলাকায়। ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় বদলি করা হয়েছিল, বলেই দাবি জানিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। যদিও রুটিন বদলি বলেই দাবি জানিয়েছিল প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, বদলির নোটিসে যে সরকারি নিয়ম জারি করা হয়েছে, সেই নিয়ম সাধারণভাবে সেনাবাহিনীতে বদলির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। ২০১৮ সালে তৎকালীন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে কর্মরত এক অফিসারকে এই নিয়মেই বদলি করা হয়েছিল । যিনি যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গ থেকে চারজনকে বদলি করা হয়েছিল কলকাতায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)