East Bardhanman News: জামালপুর সালিশিকাণ্ডে আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ TMC নেতার..
TMC Leader Surrendered In Court: তৃণমূল পার্টি অফিসে অঞ্চল সভাপতির ডাকা সালিশি সভাতে না যাওয়ায় মারধরের অভিযোগ, জামালপুর সালিশিকাণ্ডে আদালতে আত্মসমর্পণ TMC নেতার..
পূর্ব বর্ধমান: জামালপুর সালিশিকাণ্ডে আদালতে আত্মসমর্পণ তৃণমূল নেতার (TMC Leader)। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন তৃণমূল নেতা আজাদ রহমান। এফআইআরে নাম না থাকলেও শনিবার তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠায় পুলিশ। পুলিশের নোটিস পাওয়ার পরই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন তৃণমূল নেতার।
১২ জনের বিরুদ্ধে FIR হলেও নাম ছিল না তৃণমূল নেতা আজাদ রহমানের। আগেই জামিন পেয়েছেন FIR-এ নাম থাকা ১২ জন। সালিশি সভায় হাজির না হওয়ায় বৃদ্ধা ও তাঁর স্বামী-ছেলেকে মারধরের অভিযোগ। তৃণমূল নেতা আজাদ রহমানই সালিশি সভা ডেকেছিলেন বলে অভিযোগ। মূলত স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে অঞ্চল সভাপতির ডাকা সালিশি সভাতে না যাওয়ার জন্য মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। মারধরের অভিযোগ ছিল চকদিঘি চকদিঘি অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমানের লোকজনের বিরুদ্ধে। পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় বিচারের জন্য সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বসির আলীর সাথে বর্ধমানের এক তরুণীর বিয়ে হয়।তারপর দু -তিন মাসের মধ্যেই সেই তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়। অভিযোগ , মামলা চলাকালীন ১৪ জুন চকদিঘি অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমান একটি সালিশি সভা ডাকে তার পার্টি অফিসে মামলার মীমাংসা করার জন্য। ১৩ জুন রাতে বেশ কিছু লোকজন বসির আলীর বাড়িতে এসে আজাদ রহমানের সালিশি সভায় যাবার জন্য বলা হয়। অভিযোগ হুমকি দিয়ে বলা হয়, সালিশি সভায় না গেলে তোমাদের ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে।
বসির আলির দাবি, ১৪ জুন তাঁরা সালিশি সভায় না যাওয়ায় রাতেই আজাদ রহমানের লোকজন বাড়িতে এসে তাকে মারধোর করে।বাবা- মা বাঁচাতে এলে তাঁদেরকেও মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ, তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। পরে বসিরকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারপর থেকেই পরিবার আতঙ্কে ঘরছাড়া। যদিও চকদিঘি অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমানের দাবি,' এই অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোনও বিচার করার জন্য তাঁদের পার্টি অফিসে ডাকিনি। ১৪ তারিখ যে ঝামেলা হয়েছে তা একটি গ্রাম্য বিবাদ।'
আরও পড়ুন, সরকারকে অন্ধকারে রেখেই বিদ্যুতের মাশুল বাড়াচ্ছে CESC ? বিস্মিত মুখ্যমন্ত্রী !
সন্দেশখালি, চোপড়া কিংবা আড়িয়াদহ। এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহান, তাজিমুল ইসলাম এবং জয়ন্ত সিংয়ের মতো তৃণমূল নেতা বা কর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু, এই সাহস তারা পায় কোথা থেকে? ভোট করাতে ভরসা বলেই কি তাদের দেওয়া হয় অবাধ অত্য়াচারের লাইসেন্স? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।