(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
East Burdwan: করোনা পজিটিভ তরুণীর বিয়ে রুখল প্রশাসন, বাড়ির সামনে মোতায়েন হল সিভিক ভলান্টিয়ার
East Burdwan News: বিয়ের পাত্রী করোনা আক্রান্ত। তবুও চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তে খবর পেয়ে বিয়ে রুখল প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহশিক্ষকের মেয়ের বিয়ে ছিল রবিবার।
কমলকৃষ্ণ দে, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান): পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে করোনা আক্রান্ত তরুণীর (Covid Positive) বিয়ে রুখলেন বিডিও (BDO) ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। এরপর তরুণীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। যদিও এই সাংঘাতিক ঘটনায় পাত্রীর বাবার যুক্তি দিয়েছেন যে, মেয়ের উপসর্গ না থাকায় (Asymptomatic) বিয়ে থেকে পিছিয়ে আসতে চাননি তিনি।
ঠিক কী ঘটেছিল? এক তরুণী। তিনি বিয়ের পাত্রী। কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত। তা সত্ত্বেও চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তে খবর পেয়ে বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহশিক্ষকের স্নাতক উত্তীর্ণ মেয়ের বিয়ে ছিল রবিবার। তার আগে মঙ্গলবার পাত্রীর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মেয়ে করোনা আক্রান্ত জেনেও, বিয়ে বন্ধ রাখার কোনও উদ্যোগই নেয়নি পরিবার। চলতে থাকে ম্যারাপ বাঁধার কাজ। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্তের বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই খবর পৌঁছয় প্রশাসনের কানে। আর তা শোনামাত্রই পাত্রীর বাড়িতে সটান হাজির হন ভাতারের বিডিও এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। পাত্রীর বাড়ি পৌঁছে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন তাঁরা। স্থগিত করে দেন তরুণীর বিয়ে।
ভাতারের বিডিও অরুণকুমার বিশ্বাসের কথায়, 'গত ১৬ তারিখ ওই তরুণীর করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। এরপর রিপোর্ট আসে পজিটিভ। কিন্তু এরপর খবর পাই যে রবিবার তার বিয়ে। এরপর আমরা তরুণীর বাড়ি আসি, পরিবারের লোককে বোঝাই যে এমন অবস্থায় বিয়ে পিছিয়ে দেওয়াই শ্রেয়। তাঁদের বোঝাই যে তরুণী উপসর্গহীন হলেও করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সম্পূর্ণ থেকেই যায়। এত আমন্ত্রিত বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। ওরা বুঝেছেন, বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
আরও পড়ুন: Canning : বাইকে করে এসে বাড়ির সামনে গুলি দুষ্কৃতীদের, ক্যানিংয়ে খুন তৃণমূল নেতা
মেয়ে সংক্রমিত জেনেও কেন বিয়ে বন্ধ করেননি? প্রশ্ন করতেই সাফাই দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেন পাত্রীর বাবা। তিনি বলেন, 'মেয়ের দু'টি টিকাই নেওয়া আছে। তাই অনেকেই আমাকে আশ্বস্ত করেন কোনও উপসর্গ যেহেতু নেই, তাই মেয়ের বিয়ে দিতে কোনও সমস্যা হবে না। সেই কারণে আমিও আর পিছিয়ে আসিনি।'
এদিকে, তরুণীর বাড়িতে ঢোকা-বেরনো আটকাতে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করেছে প্রশাসন।