East Burdwan News: মেলা শেষে মর্মান্তিক ঘটনা বর্ধমানে, ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু অংশগ্রহনকারীর
East Burdwan Accident: মেলার মাঠে ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বর্ধমানে । মেলার মাঠেই ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল একজনের। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের কল্পতরু মাঠে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মেলার মাঠে ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বর্ধমানে (Burdwan)। জেলা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের ২৪ তম ন্যাশনাল রাই প্রো-টেক এক্সপোর মেলার মাঠেই ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল একজনের। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের কল্পতরু মাঠে। জানা গিয়েছে, ওই মৃতের নাম ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় (Falguni Chatterjee)। বছর ৩২-র ফাল্গুনী গুসকরার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বর্ধমানের কল্পতর মাঠে ন্যাশনাল রাইস প্রো টেক এক্সপো ২০২২ মেলা শেষ হয়েছে গতকালই। আজ সকাল থেকেই মেলার মালপত্র ক্রেনের সাহায্যে গাড়িতে লোডের কাজ চলছিল। সেই সময় মাঠে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন মেলাতে অংশগ্রহনকারী কৃষিজ যন্ত্রাংশ তৈরী সংস্থার এক কর্মচারী। সেই সময় ক্রেনটি তাকে ধাক্কা মারে ঘটনাস্থলেই ক্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ। তবে ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু না হলে, বাইশ সালে একগুচ্ছ দুর্ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন, শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে ফের 'কুকথা' অখিল গিরির
গত অক্টোবরে উলুবেড়িয়ার জগৎপুরে বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল মা-মেয়ের। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সে বার মৃতদেহ আটকে রেখে, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। তাই দ্রুত আন্ডারপাস করে দিতে হবে। এর কয়েক মাস আগে, গত জুলাইয়ে, উলুবেড়িয়াতেই বেপরোয়া বাইক চালাতে গিয়ে প্রাণ যায় দুজনের।
উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর অঞ্চলের বেলতলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অটোর পিছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুই বাইক আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বেপরোয়া বাইক চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা। রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মাইকিং, অনুষ্ঠান, পোস্টার, ব্যানার করে সকল সচেতন করছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেও বেপরোয়া ড্রাইভের নেশা ছাড়তে পারেননি অনেকেই। অনেকে আবার বাইকে বসেও হেলমেট পড়ছেন না। পুলিশি সতর্কতামূলক ঘোষণা লঙ্ঘনে বারবার একই দৃশ্য ফিরছে বাংলায়।