East Burdwan: নাবালিকা সহপাঠিনীর অশ্লীল ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড, পূর্বস্থলীতে গ্রেফতার ৪
East Burdwan: কোচিং সেন্টারে সহপাঠিনীর অশ্লীল ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণির চার ছাত্রের বিরুদ্ধে। ওই চার ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।
রাণা দাস, পূর্বস্থলী (পূর্ব বর্ধমান): কোচিং সেন্টারে নাবালিকা সহপাঠিনীর অশ্লীল ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণির চার ছাত্রের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই চার ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।
একসঙ্গে কোচিং সেন্টারে যাওয়া-আসা করতে করতে, একই শিক্ষকের কাছে পড়ার মধ্যে সহপাঠিনীর সঙ্গে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। আর এই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়েই জোর করে বান্ধবীর অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে রেকর্ড করে নবম শ্রেণির এক ছাত্র। তাকে সাহায্য করে তারই তিন সহপাঠী। এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেয় অভিযুক্তরা। ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত সহ ৪ নাবালক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
অভিযোগকারিণীর মামার কথায়, 'হঠাৎই সেই ভাইরাল ভিডিও দেখতে পাই। তারপরই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো বিষয়টি জানতে পারি। আমাদের মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয় তাই ও ভয়ে আমাদের আর কিছু জানায়নি। পরে আমরা ওকে চাপ দেওয়ায় ধীরে ধীরে সব কথা আমাদের বলে। আমরা ওই শিক্ষককেও জানাই কিন্তু তিনিও কোনও ব্যবস্থা নেননি।
ওই শিক্ষকের স্ত্রী অপর্ণা ঘোষের জানাচ্ছেন, 'ছাত্ররা এসে কোচিং সেন্টারের চাবি নিয়ে গিয়ে এই কীর্তি করে। আমরা এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। ওই ছাত্রী যদি আমাদের জানাত তাহলে আমরাই ব্যবস্থা নিতাম। এমন দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।' যদিও ওই চার অভিযুক্তের পরিবারের কেউ এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনা জানাজানি হতে নাবালিকার পরিবারের তরফে পূর্বস্থলী থানায় ধর্ষণের চেষ্টা, সাইবার ক্রাইম ও পকসো ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ওই ৪ নাবালক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অভিযুক্তদের মোবাইল থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও।
আজ আরও এক সাংঘাতিক ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমান। নাবালিকার বিয়ে আটকানো যার কাজ সেই চাইল্ড লাইন কর্মীকেই এক নাবালিকাকে বিবাহের অপরাধে পুলিশের জালে পড়তে হল।