Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের বাইরে সরকারি ফর্ম বিক্রি! গ্রেফতার মুদির দোকানের মালিক, এবিপি আনন্দের খবরের জের
Duare Sarkar Form Controversy: পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল পরিচালিত ভাল্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’-এর ফর্ম বিক্রি করার অভিযোগে, অভিযুক্ত মুদি দোকানের মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রানা দাস, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও রুমা পাল, পূর্ব বর্ধমান: এবিপি আনন্দের (ABP Ananda) খবরের জের। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে (Mangalkot) দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পের বাইরে সরকারি ফর্ম বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মুদির দোকানের মালিককে। এই ঘটনায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC)।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল পরিচালিত ভাল্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’-এর ফর্ম বিক্রি করার অভিযোগে, অভিযুক্ত মুদি দোকানের মালিক সুফি মহম্মদ আয়ুবকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার স্থানীয় ভিন্ডিরা হাইস্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পরিবর্তে স্কুলের উল্টোদিকে এই মুদির দোকান থেকেই ৫ টাকা, ১০ টাকার বিনিময়ে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছিল। এবিপি আনন্দের ক্যামেরার সামনে জোর গলায় তা স্বীকারও করে নেন অভিযুক্ত।
সোমবার এই ছবি সম্প্রচারিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর এদিন সকালে অভিযুক্ত দোকান মালিককে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। মঙ্গলকোটের ভাল্য গ্রাম পঞ্চায়েত বাসিন্দা হবু শেখ বলেন, "এখানে একজন ফর্ম বিক্রি করছিল। তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। ও আগেও ফর্ম বিক্রি করত বলে শুনেছি।"
আরও পড়ুন, জেলা হাসপাতালেও চালু মা ক্যান্টিন, সারা ভারতে এমন উদ্যোগ চালুর দাবী রোগীদের পরিবারের
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, শুধু এই দোকানই নয়, ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প হলেই, আশেপাশের একাধিক দোকানে বিক্রি হয় সরকারি প্রকল্পের ফর্ম। ওই গ্রামের বাসিন্দা মকবুল শেখ বলেন, "কালকে ফর্ম দেয়নি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে। আমাদের পয়সা দিয়ে কিনতে হয়েছে। এক একটা প্রকল্পের ফর্মের জন্য ১০ টাকা করে লেগেছে। আমরা গরিব। শুধু এই দোকানে নয়, বিভিন্ন দোকানে ফর্ম বিক্রি হয়।"
এ বিষয়ে মঙ্গলকোটের বিডিও জানিয়েছেন, সোমবার সংবাদমাধ্যমে দেখার পরই আমরা প্রথমে দোকান বন্ধ করে দিই। তারপর পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "দুয়ারে সরকার তো পঞ্চায়েত। ওটার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে এখন দুয়ারে সরকারের নামে টাকার শ্রাদ্ধ করা হচ্ছে। কী লাভটা হচ্ছে? তাহলে পঞ্চায়েতের কাজ কী, পুরসভার কাজ কী?তারা লুঠ করবে, আর দুয়ারে সরকারের নাম করে সরকার প্রকল্প করে টাকা খরচ করে মুদির দোকান, সেখানে ফর্ম বিক্রি করবে। একটা ফেরেব্বাজির সরকার পশ্চিমবঙ্গে চলছে।"
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "এটা একটা ছোট বিষয়। রাজ্যে এত বড় একটা কর্মযজ্ঞ চলছে, তাতে কোথায় একটা মুদির দোকান থেকে কে ফর্ম বিক্রি করাচ্ছে...এমনও তো হতে পারে, কেউ করাচ্ছে।"
‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকেই মিলবে যাবতীয় সরকারি প্রকল্পের ফর্ম। বারবার একথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এ নিয়ে কড়া নির্দেশ এসেছে নবান্নের তরফেও। কিন্তু তারপরও এই ছবি সামনে আসায় শুরু হয়েছে বিতর্ক!