Purba Bardhaman : সাজা ঘোষণার পর এজলাস থেকেই চম্পট দিয়েছিল ধর্ষণের আসামী, অবশেষে আত্মসমর্পণ
East Burdwan News : জেলের সাজা শুনেই এজলাস থেকে আসামী চম্পট দিয়েছিল ! কাটোয়া আদালতে তুলকালাম বেঁধে যায় এই ঘটনায়।
রানা দাস, কাটোয়া : ধর্ষণের অভিযোগে জেলের সাজা শুনেই এজলাস থেকে আসামী চম্পট দিয়েছিল ! কাটোয়া আদালতে তুলকালাম বেঁধে যায় এই ঘটনায়। কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে চম্পট? ওঠে প্রশ্ন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, এজলাস থেকে পালালেও, আইনজীবীর পরামর্শে অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করল ধর্ষণ-মামলার আসামী।
আত্মসমর্পণের পর সাজা ঘোষণায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে জিতেন মাঝির। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে ধর্ষণ-মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় জিতেন। এরপর এজলাস থেকেই চম্পট দেয় ওই আসামি। পুলিশ জানিয়েছে, সারারাত শহরের কাছেই এক গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়েছিল জিতেন। বাড়ির লোক জানতে পেরে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর আইনজীবীর পরামর্শে শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটোয়া আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে ওই আসামী।
আরও পড়ুন :
আতঙ্কের মধ্যেই দেশে নতুন করে মৃত্যু করোনায়
১২ বছর আগের ঘটনা। ২০১০ সালে, কেতুগ্রামের বাসিন্দা, জিতেন মাজি নামে ওই ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক মাসের মাথায় জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্ত। কিন্তু মামলা চলছিল। ২০২২-এর নভেম্বর মাসে ধর্ষণের মামলার শুনানি শেষ হয়। শুক্রবার ধর্ষণে অভিযুক্ত জিতেন মাজিকে দোষী সাব্য়স্ত করে কাটোয়া মহকুমা আদালত। কিন্তু রায় শোনার পরই, কোর্ট চত্বর থেকে গায়েব হয়ে যায়। পলাতক আসামি জিতেনের বাবা বিজয় মাজিকে পাকড়াও করে পুলিশ। জিতেনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।অবশেষে শনিবার সে নিজেই ধরা দিল।
শনিবার সকালে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে সে। বিচারক সুকুমার সূত্রধর এজলাসে এসেই দেখেন, দাঁড়িয়ে রয়েছে আসামি। বিচারক আসামির কাছে জানতে চান, শুক্রবার কেন পালিয়েছিলে? জিতেন হোত জোড় করে উত্তর দেয়, ভয় পেয়ে পালিয়েছিলাম। এর আধ ঘণ্টা পর শুরু হয় শুনানি।
শুনানির মাঝে বিচারকের কাছে শৌচালয়ে যাওয়ার আর্জি জানায় জিতেন। বিচারক বলেন, আবার পালিও না যেন।
শুক্রবারের কথা মাথায় রেখে এদিন আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি পুলিশকর্মীরা। হাতকড়া পরিয়ে আসামিকে নিয়ে যাওয়া হয় শৌচালয়ে। ফিরে আসার পর দু'পক্ষের সওয়াল-জবাবের শেষে, আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। সেই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের জেল ।
ABP Ananda
Social Media Handles:
Facebook: https://www.facebook.com/abpananda
Twitter: https://twitter.com/abpanandatv
Google+: https://plus.google.com/+abpananda