Purba Bardhaman:কেতুগ্রামে শ্যুটআউট, ইটভাটার মালিককে গুলি করে খুন
Ketugram Shootout:কেতুগ্রামে শ্যুটআউটের ঘটনায় খুন হলেন ইটভাটার মালিক। ইটভাটা থেকে বেরোনোর পরই দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় মালিকের শরীর। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কেতুগ্রামে (Ketugram Shootout) শ্যুটআউটের ঘটনায় খুন হলেন ইটভাটার মালিক (Owner Of Brick Field Murdered)। ইটভাটা থেকে বেরোনোর পরই দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় মালিকের শরীর। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
গুলিচালনার পর ইটভাটার মালিককে বীরভূমের সিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাইক-আরোহী ৪ দুষ্কৃতীর খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কেন হঠাৎ এমন হামলা? ধোঁয়াশা রয়েছে খুনের কারণ নিয়েও। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ইটভাটা মালিকের মোবাইল ফোনটি উধাও। নেপথ্যে কী রহস্য? তদন্ত করছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-এর হত্যার কথা। এই সংক্রান্ত যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল তাতে দেখা যায় ভর সন্ধ্যায় গাড়ি করে এসে রাজু ঝাকে গুলি করেছিল ২ দুষ্কৃতী। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পর পর চালানো হয় গুলি। গত এপ্রিল মাসে ঘটনাটি ঘটে।
শক্তিগড়ে রাজু ঝা হত্যা...
ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজু-লতিফের সাদা ফরচুনার গাড়ি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি খাচ্ছেন আব্দুল লতিফ ও রাজুর আরেক সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। এমন সময়ে একটি নীল ব্যালেনো গাড়ি প্রথমে বর্ধমানের দিকে যায়। পরে সেই গাড়িই ইউ টার্ন করে আসে সাদা ফরচুনার গাড়িটির দিকে। গাড়ি থেকে ৩ জন নামে, একজনের মুখ মাস্কে ঢাকা ছিল। হাতে সেভেন এমএম পিস্তল নিয়ে ফরচুনার গাড়ির দিকে এগিয়ে যায় ২ জন। জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে চারদিকে নজর রাখছিল আরেকজন। লতিফ ও ব্রতীন গাড়িতে উঠতেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় হলুদ পোশাক পরা এক ব্যক্তি। পিছন থেকে এসে গুলি চালায় আরও এক ব্যক্তি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পর পর চালানো হয় গুলি। প্রাণে বাঁচতে শুয়ে পড়েন গাড়িতে বসে থাকা লতিফ। নিখুত অপারেশনের পর গাড়িতে করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রহস্যজনকভাবে তার পর থেকেই বেপাত্তা আবদুল লতিফ। মূলত গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন বলে শোনা গিয়েছে আব্দুল লতিফের নাম। পরে কয়লা পাচারকাণ্ডেও সেই আবদুল লতিফের নাম উঠে আসে। সেই লতিফই রাজু ঝা খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী বলে প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছিল।
এদিনের ইটভাটা মালিকের খুনে কে বা কারা জড়িত? সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন:টিভিতে ডার্বি দেখেছি, এবার ভরা গ্যালারির সামনে ডার্বিতে গোল করলাম: নন্দকুমার