![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
আউশগ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের তদন্তে ঘটনাস্থলে গেল সিআইডি
তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারের অভিযোগ, তৃণমূল প্রধানের ছেলেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় হাত রয়েছে বিজেপির।
![আউশগ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের তদন্তে ঘটনাস্থলে গেল সিআইডি The CID went to the spot to investigate the murder of the son of the Trinamool panchayat chief in Aushgram আউশগ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের তদন্তে ঘটনাস্থলে গেল সিআইডি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/09/08/49ffd4cac1d38740bd84c26d5e421a23_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আউশগ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের তদন্তে ঘটনাস্থলে গেল সিআইডি। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদবুদ ও আউশগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারের অভিযোগ, তৃণমূল প্রধানের ছেলেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় হাত রয়েছে বিজেপির।
শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন, আগেই দাবি করে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার বাবার সামনেই গুলি করে খুন করা হয় দেবসালা পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূল নেতা শ্যামল বক্সীর ছেলে চঞ্চল বক্সীকে। তৃণমূল নেতার ছেলেকে খুনের প্রতিবাদে এ দিন দেবশালা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ে বাঁকুড়ার স্কুলে শিশুপাচারকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিআইডি। বাঁকুড়ায় পৌঁছে যায় সিআইডি-র একটি দল। বাঁকুড়া সদর থানায় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই এই মামলায় স্কুলের প্রিন্সিপাল-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের সঙ্গে বড় কোনও চক্রের যোগ? খতিয়ে দেখতে শুরু করে সিআইডি।
শিক্ষক মানেই মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই উঠেছে শিশু কেনাবেচা ও পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। রাজস্থানে নিয়ে গিয়ে মোটা দরে শিশুকন্যা বিক্রির পরিকল্পনা ছিল বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালের। সেই লক্ষ্যেই মিথ্যে পরিচয় দিয়ে দুই শিশুকন্যাকে নিজের হেফাজতে রেখেছিলেন তিনি। তদন্তে চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের। মানতে নারাজ পরিবার। রাজনৈতিক তরজা জারি।
উল্লেখ্য, গত ২২ অগাস্ট পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের ছায়াসঙ্গীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার পাশাপাশি, খুনের সুপারির টাকা ৬ শ্যুটারের মধ্যে বিলি করে অভিযুক্ত। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দাবি গোয়েন্দাদের। খুনের পর ১ মাস ৯ দিন ধরে সিআইডি-র সঙ্গে লুকোচুরি। তদন্তকারীদের নজর এড়িয়ে ভিন রাজ্যে পালানোর ছকও কষে সে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুনে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তের ছায়াসঙ্গীকে। ধৃতের নাম রিপন শেখ। সিআইডি সূত্রে খবর মেলে, শনিবার বর্ধমানের নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১২ জুলাই মঙ্গলকোটে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে। খুনের পর দিল্লি থেকে মূল অভিযুক্ত শেখ রাজুকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, শেখ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর ছায়াসঙ্গী রিপন শেখের হদিস মেলে। তৃণমূল নেতাকে খুনের ব্লু প্রিন্ট তিনিই তৈরি করেন। সেই মতো খুনের জন্য ৬ জনকে জোগাড় করা হয়।
তাঁদের মধ্যে খুনের সুপারির ৫ লক্ষ টাকা বিলি করেন রিপন। খুনের সময় কে কোথায় থাকবে, কে গুলি চালাবে, সেই পরিকল্পনাও করেন। তদন্তকারীদের আরও দাবি, খুনের পর মঙ্গলকোটে বসেই পুলিশ ও সিআইডি-র গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন রিপন। শেখ রাজু ধরা পড়ে যাওয়ায় কেরলে পালানোর ছক কষেন তিনি। অসীম দাস খুনে এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত পলাতক বলে দাবি করে সিআইডি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)