Purba Burdwan: তৃণমূলের পার্টি অফিসে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ উঠল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে
একটি ঘরের ভিতরে বসেছে জুয়ার আসর! সেখানে হাতে যিনি টাকা নিয়ে বসে, তিনি নাকি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান! আর জুয়ার আসরও নাকি বসেছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে।

রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিসে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ উঠল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হতেই মঙ্গলকোটের উনিয়ায় শোরগোল পড়ে গেছে। যদিও, ভিডিওতে তিনি ছিলেন না বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান। এনিয়ে তৃণূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। অভিযোগ প্রমাণিত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি।
একটি ঘরের ভিতরে বসেছে জুয়ার আসর! সেখানে হাতে যিনি টাকা নিয়ে বসে, তিনি নাকি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান! আর জুয়ার আসরও নাকি বসেছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে, শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
গ্রামবাসীদের দাবি, ভিডিও যাঁকে টাকা নিয়ে বসে জুয়ার আসরে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে তিনি পলিগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মজনু শেখ। তাঁদের অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই উনিয়ায় দলীয় পার্টি অফিসে জুয়ার আসর বসান এই তৃণমূল নেতা। যদিও ভিডিওতে তিনি ছিলেন না বলে পাল্টা দাবি করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধান।
মঙ্গলকোট পলিগ্রামের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান মজনু শেখ বলছেন, এটা বিজেপি রাজনৈতিক চক্রান্ত করেছে। ওই ভিডিওতে আমি নেই। আর এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় হতেই তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, তৃণমূল নেতাদের এত টাকা হয়েছে যে জুয়া খেলে টাকা ওড়াতে হচ্ছে। এটা লজ্জার বিষয় যে পার্টি অফিসে ভিতরে জুয়া খেলা হচ্ছে।
অভিযোগ সত্যি হলে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর কথায়, এই ঘটনা সত্যি হয়,তাহলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে উপপ্রধানকে। যে কোনও রাজনৈতিক দলের অফিস দলের কাজকর্ম, নেতাকর্মীদের বৈঠক এই সব কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর মঙ্গলকোটের উনিয়ায় সেই অফিসেই নাকি চলছে রমরমিয়ে জুয়া খেলা।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তৃণমূল কর্মীরা যদি চাকরি পেয়ে থাকে তো অন্যায় কোথায়? মদন মিত্র, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের পর এবার জগদ্দলের বিধায়ক। গতকাল একটি সভার প্রস্তুতিতে সোমনাথ শ্য়াম বলেন, বাম আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি হতো। সব জায়গায় বেআইনি নিয়োগ হতো। তখন কী একটাও বিরোধীদের চাকরি হয়েছে? মন্তব্য় তৃণমূল বিধায়কের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
