(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mahishadal News: বাড়ি ফেরার পথে হামলা, মহিষাদলে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় BJP
Purba Medinipur News: এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
বিটন চক্রবর্তী, মহিষাদল: ভোটের আগের দিন মহিষাদলে খুন তৃণমূল নেতা। খুন হলেন বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য শেখ মইবুল। রাতে দলীয় কর্মীকে নামিয়ে মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফেরার পথে আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে কোপানো হয় মইবুলকে। এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। (Mahishadal News) এই ঘটনায় অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট চাইল কমিশন।
শনিবার ষষ্ঠদফায় লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর কয়েক ঘণ্টা আগে, শুক্রবার বার রাতে খুন হয়ে গেলেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগের তির বিজেপি-র দিকে। বিজেপি যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাজনৈতিক কারণেই এই খুন কি না, এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভোট চলাকালীন ফের প্রাণ ঝরল রাজ্যে। (Purba Medinipur News)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মইবুল তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত মইবুল। বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্যও। গতকাল রাতে এক দলীয় কর্মীকে প্রথমে বাড়ি পৌঁছে দেন তিনি। তার পর মোটর সাইকেল নিয়ে নিজের বাড়ির অভিমুখে রওনা দেন। কিন্তু বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকান বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পথ আটকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় মইবুলকে। এর পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। সেই রক্তাক্ত অবস্থাতেই এলাকার পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় মইবুলকে। মইবুল বাড়ি ফেরেননি বলে এর পর খোঁজ শুরু হয়। দলীয় কর্মী-সমর্থকরাই পুকুর থেকে মইবুলকে উদ্ধার করা হয়। মহিষাদলের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মইবুলকে। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরাই মইবুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপি-র দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। বিজেপি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু ভোটের আগের রাতে মহিষাদলে এই খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই মুহূর্তে থমথমে এলাকা। এমনিতেই এবারের নির্বাচনে সকলের নজর রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। গত কয়েক দিন ধরে তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। সেই আবহেই এই ঘটনা। অন্য দিকে, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।