BJP : চণ্ডীপুরে সুকান্ত-র বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠদের একাংশ, কটাক্ষ তৃণমূলের
Purba Medinipur : সুকান্ত মজুমদার যখন চণ্ডীপুরে বৈঠক করছিলেন, তখন উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী
বিটন চক্রবর্তী, নন্দকুমার : পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) চণ্ডীপুরে (Chandipur) বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠদের একাংশ। এ’নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল বিজেপির অন্তর্কলহ। বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কি, আঙুল উঁচিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যাওয়া-বাদ যায়নি কিছুই। এই প্রেক্ষাপটে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর, তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন ; উত্তরবঙ্গের সঙ্গে "খাপ খাচ্ছে না", গরমের ছুটি এগনোর বিরোধিতা এবার তৃণমূলের অন্দরেও
সুকান্ত মজুমদার যখন চণ্ডীপুরে বৈঠক করছিলেন, তখন উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। জেলা রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা-সহ একাধিক বিজেপি নেতা।
এপ্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা আসতে পারেননি, দু'-একজন ছাড়া...তাঁদের কোর্টে কারও মামলা ছিল, কারও ডাক্তার দেখানোর অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। এছাড়া অন্য কিছু বিষয় ছিল না। আগাম জানিয়েই অনুপস্থিত ছিল না।
সুকান্তর বৈঠকে অনুপস্থিতি ‘শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠরা’, আর এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এখন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। দাঁড়ানোর কোনও জায়গায় নেই। যাঁরা বিজেপি করতেন, তাঁরা দলেবলে অন্য দলে ফিরে চলে আসতে চাইছেন। আগামী ২০২৪ সালে এই বিজেপি ভারত থেকে যাবে। কারণ, এরা প্রতারক। ধাপ্পাবাজ। এরা মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপি দলের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। দলের সংগঠন হিসেব মতোই চলছে। শুভেন্দুবাবু উত্তরবঙ্গে গেছেন। একসঙ্গে তিন-চারটি মেয়ের শ্লীলতাহানি হয়েছে। একজনের ধর্ষণও হয়েছে। দলের তরফে তাঁকে ওখানে যেতে বলা হয়েছে। সেই জন্য উনি ওখানে গেছেন। আমাদের সমস্ত কিছু নির্ভর করে সংগঠনের কাঠামোর ওপর।
ভগবানপুর ও পটাশপুরে গিয়ে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।