Purulia: পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ায় পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বহু গ্রামবাসী, মৃত্যু এক শিশুর
Purulia News: পানীয় জল নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরুলিয়ার গ্রামে। জল খেয়েই গ্রামবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মনে করছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। গ্রামে বসানো হচ্ছে নতুন টিউবওয়েল।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আরও ১৩ জন গ্রামবাসীর। কমবেশি সবাই ভুগছেন পেটের সমস্যায়। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ায়। নবগ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপাড়ায় ছড়িয়েছে পেটের রোগ।
মঙ্গলবার রাতে পেটে ব্যাথা ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ৬ বছরের আয়ুষ থানেদারকে হারমাড্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত শিশুর বাবা অটল থানেদার জানিয়েছেন, ‘বছর ছয়ের আয়ুষ থানেদারের পেটে ব্যথা, পেটের গোলমাল ও বমির উপসর্গ দেখা দেয়। এ ছাড়া তার আর কোনও রোগ ছিল না। তাকে ভর্তি করা হয় হারমাড্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই গ্রামের শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে পেটে ব্যথা, বমি ও পেটের গোলমালের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হারমাড্ডি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বুলটি থানেদার জানিয়েছেন, গ্রামের টিউবলের জল খেয়েই পেটের রোগ, বমি ও পেটে ব্যথার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। গ্রামে অবিলম্বে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি করেছেন তিনি।
গ্রামবাসীদের একাংশ এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমান, গ্রামের একট নির্দিষ্ট টিউবওয়েলের জল খেয়ে পেটের সমস্যায় ভুগছেন এত মানুষ।
নিতুড়িয়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র মাহাত জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রাথমিক অনুমান, গ্রামের একটি টিউবলের জল খেয়ে গ্রামের শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে পেটের রোগের সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নলকূপটি ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এক শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি গ্রামবাসীদের পেটের সমস্যা বাড়তে থাকায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। গ্রামে বসানো হচ্ছে নতুন টিউবওয়েল। এদিন তার সূচনা হয়। আপাতত পুরনো টিউবওয়েলের জল খেতে বারণ করা হয়েছে গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামে পাঠানো হয়েছে জলের ট্যাঙ্কার। বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন আশাকর্মীরা।