Purulia News: পুরুলিয়ায় হস্টেলের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে !
Purulia HS Girls Hostel Molestation Case : পুরুলিয়ার বরগড়িয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হস্টেলে বিস্ফোরক অভিযোগ !

পুরুলিয়া : হস্টেলের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুরুলিয়ার বরগড়িয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হস্টেলে তীব্র চাঞ্চল্য। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রীদের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন, ভোটার তালিকা নিয়ে 'রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ভিত্তিহীন', কী বলছে নির্বাচন কমিশন ?

সম্প্রতি কিছু ছাত্রী অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁরা সরব হন। গত সোমবার অভিভাবকেরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তিনদিন পরেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অধরা। SFI, DYFI-এর নেতৃত্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতারি-শাস্তির দাবিতে বোরো থানার সামনে বিক্ষোভ। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

অতীতেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যে। ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষকের বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করেছিল উত্তেজিত জনতা। আতঙ্কে তিনতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মণ্ডলহাট এলাকায়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল স্থানীয়রা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই পার্শ্বশিক্ষক ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। খবর জানাজানি হওয়ার পর, এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও ছাত্রীর পরিবারের তরফে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে শিক্ষক এই সন্দেহে শিক্ষকের বাড়ি ভাঙচুর করেছিল এলাকাবাসী। জনরোষ থেকে প্রাণে বাঁচতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক রমেন তালুকদার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিক্ষককে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের রোষে পড়ে শিক্ষকের বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাটোয়া থানার মণ্ডলহাট এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের দাবি ছিল, কিছু বোঝার আগেই পাড়ার কিছু লোক এসে তাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছিল। অভিযুক্ত শিক্ষক স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষকের চাকরি করতেন। কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। জখম শিক্ষককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।






















