Purulia News: 'বাদ চাষিরা'!ফড়ে-দাপটের অভিযোগে সরকারি কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা
Paddy Procurement:ধান ক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিকদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।
সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: সরকারিভাবে ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি ছড়াল পুরুলিয়ায় (Purulia)। বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই। স্থানীয়দের অভিযোগ, চাষিদের বাদ দিয়ে ফড়েরা ধান কিনেছেন। সেই কারণেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। ধান ক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিকদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার, ঘোঙ্ঘা গ্রাম পঞ্চায়েতের চরগালি গ্রামে ধান কিনতে ক্যাম্প (Paddy Procurement) করা হয়। চাষিদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরির জেরে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। পরে পুলিশ ও কৃষি আধিকারিকের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ধান কেনা শুরু হয়।
ন্য়ায্য়মূল্য়ের ধান কেনাতে ফড়ে-রাজ! বারবার এই অভিযোগ উঠেছে নানা জেলায়। এবার একই ঘটনা ঘটল পুরুলিয়ায়। প্রকৃত চাষিদের বাদ দিয়ে, মধ্য়স্থতাকারীদের থেকে ধান কেনার অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার।
পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের ঘোঙ্ঘা গ্রাম পঞ্চায়েতের চরগালি গ্রামে। সেখানেই বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার, এই চরগালি গ্রামে চাষিদের থেকে ন্য়ায্য়মূল্য়ে ধান কেনার সরকারি ক্যাম্প করা হয়। এরইমধ্য়ে অভিযোগ ওঠে, চাষিদের থেকে না কিনে, ফড়েদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে। এরপরই ধান কেনা-বেচা বন্ধ করে দেন এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।
পুরুলিয়া (Purulia News) জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাতো বলেন, 'তৃণমূলের কোনও নেতা-মন্ত্রী যদি কিছু করে, সেখানে চোর হয়ে যায়। আধিকারিকরা এইধরনের ডাকাতি করছে। আমাদের দলকে বদনাম দেওয়ার জন্য় কিছু কিছু আধিকারিকরা এই ধরনের কাজ করছে। আমরা চাই অরিজিনাল চাষিদের মাল নেওয়া হোক। ফড়েদের থেকে কেন নেবে?'
কদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনাতেও ধান কেনা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। ধানের গুণগত মান কম বলে কম টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেখানে।
সম্প্রতি দিঘিরহাট সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ফসল বিক্রি করার সময় শর্ত দেওয়া হয়েছিল, কুইন্টাল প্রতি পাঁচ কেজি ধানের দাম বাদ দিতে হবে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কৃষকরা। ধান কেনাবেচা বন্ধ রাখা হয়। ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিল অশোকনগর থানার পুলিশ। চাষিদের দাবি ছিল, এমনিতে ধান বাদ দেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু সেখানে ৩ কেজি করে বাদ দেওয়া হতো। সেদিন ৫ কেজি বাদ দিতে চাওয়ায় তুমুল গন্ডগোল তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নদিয়া থেকে অযোধ্যা, রামমন্দির যাচ্ছে বিশ্বজিতের মুব়্যাল টেরাকোটা