Purulia News : পুরুলিয়ায় ফের আরও ২টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল !
TMC : তৃণমূলে যোগদানকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন দেখেই তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন
সন্দীপ সমাদ্দার, জয়পুর (পুরুলিয়া) : পঞ্চায়েতে (Panchayat) দলবদলের হিড়িক অব্যাহত। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই সেই ধারা চলছে। যোগদান করিয়ে পুরুলিয়ায় ফের আরও ২টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল (TMC)। জয়পুর ব্লকের (Jaipur Block) ঘাঘরা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward Block) ও নির্দল প্রার্থী বোর্ড গঠনের আগে নাম লেখালেন শাসকদলে।
ঘাঘরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫টি। নির্বাচনী ফলাফলে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল পেয়েছিল ৭টি আসন, নির্দল ৪টি, বিজেপি ২টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি এবং সিপিএম ১টি করে আসন পায়। গতকাল পুরুলিয়া জেলা কার্যালয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতির হাত ধরে ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন এবং ১জন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ঝুলিতে এখন ৯টি আসন।
আজ ১জন ফরওয়ার্ড ব্লক এবং ১জন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসন সংখ্যা দাঁড়াল ৯।
অন্যদিকে, পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের ডিমডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ২টি আসন পায়। সেই দুই জয়ী প্রার্থীই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এর ফলে ২০ আসনের গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল দখল করল ১২টি আসন। বিজেপি ৭ এবং নির্দল একটি আসনে জিতেছে। বিরোধীদের দাবি, বোর্ড দখলের জন্য মরিয়া তৃণমূল জোর করে ভয় দেখিয়ে দলবদল করাচ্ছে। এই আমলে উন্নয়ন দেখে যোগদান, পাল্টা দাবি করেছেন শাসকদল। তৃণমূলে যোগদানকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন দেখেই তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। আগে যেই দলে ছিলেন তাঁরা, সেখানে থেকে কোনও উন্নয়ন করতে পারবেন না। তাই দলবদল।
এর আগে অগাস্টের গোড়ায় পুরুলিয়ায় দু'টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল তৃণমূল। গোটা জেলায় ১৭০টির মধ্যে তৃণমূল ১২৩টি পঞ্চায়েত দখল করে। ৩৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিল। এর আগেও ২টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল তৃণমূল। সেই সময়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩৩টির মধ্যে ৪টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছিল শাসকদল। এখন নতুন করে আরও দু'টি গ্রাম পঞ্চায়েত সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হয়। আগেরবার বিজেপি দাবি করেছিল, পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে ভয় দেখিয়ে, গায়ের জোরে পঞ্চায়েত দখল করছে তৃণমূল। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে শাসকদল পাল্টা দাবি করে, জোরাজুরি নয়, উন্নয়নে সামিল হওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় বিরোধী প্রার্থীরা তাদের দলে আসতে চাইছেন।