Uttar Dinajpur News: দেড় বছর ধরে ভাগ্যজয়ের চেষ্টা, ৬০ টাকার লটারিতে কোটিপতি ভ্যানচালক
Uttar Dinajpur News: বছর দেড়েক আগে থেকে লটারি কিনতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু টিকিটের গোছা কেনার সামর্থ্য ছিল না তাঁর। তাই দিনে ছ’টাকা বরাদ্দ করেন লটারির জন্য।
সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: সংসার ভর্তি লোকজন। অথচ রোজগার নামমাত্র। কিছুতেই সঙ্কুলান হচ্ছিল না। তার মধ্যেও সকলের চোখ বাঁচিয়ে রোজ ছ’টাকা বরাদ্দ রাখতেন নিজের জন্য। ভাগ্যজয়ের সেই নেশাই জীবন পাল্টে দিল ভ্যানচালক দীপক দাসের। লটারি জিতে এখন তিনি কোটিপতি হওয়ার পথে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj) দক্ষিণ বড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা দীপক, পেশায় দিনমজুর। ভ্যান চালিয়ে মালপত্র বয়ে নিয়ে নামমাত্র টাকা রোজগার করেন। তাতে কোনও রকমে পেট ভরে স্বামী স্ত্রী এবং চার মেয়ের। কিন্তু শাক-পাতা খেয়ে পেট যদিও বা চলে, মেয়ের বিয়ে দেবেন কী করে, সেই চিন্তাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল দীপককে।
তা থেকেই বছর দেড়েক আগে থেকে লটারি (Lottery) কিনতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু টিকিটের গোছা কেনার সামর্থ্য ছিল না তাঁর। তাই দিনে ছ’টাকা বরাদ্দ করেন লটারির জন্য। তাতে দু’-পাঁচ হাজার জুটেও যেত কখনও সখনও। কিন্তু সংসার গোছানোর পক্ষে তা যথেষ্ট নয়।
তাতেই কার্যত অধৈর্য হয়ে পড়েন দীপক। আগু পিছু না ভেবে মঙ্গলবার একেবারে কড়কড়ে ৬০ টাকার টিকিট কিনে ফেলেন। তার পর সন্ধ্যায় নম্বর মেলাতে গিয়েই চোখ ছানাবড়া। দেখতে পান একেবারে ১ কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Nadia News: সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাকের কাপড় তৈরির পাইলট প্রজেক্ট চালু নদিয়ায়
দীপকের লটারি (Lottery Winner) জেতার খবর পাড়ার দোকান থেকে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। রায়গঞ্জ থানার পুলিশের কানেও পৌঁছয় সে খবর। সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগেই দীপককে নিরাপত্তা দিতে পৌঁছয় তারা। সঙ্গে করে থানায় নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় কাজ মেটানো হয়। তার পর তাঁকে বাড়িও পৌঁছে দিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকায় দীপক এবং তাঁর পরিবার যেমন খুশি, তেমনই খুশি গ্রামের মানুষও।
এবিপি আনন্দকে দীপক বলেন, “চার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্যই টিকিট কাটতাম। এত দিনে মুখ তুলে চাইলেন ভগবান। এ বার আর কোনও সমস্যা থাকবে না।”
স্থানীয় তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্য রিপন সরকার বলেন, “দিনমজুর ভ্যানচালক দীপক দাসের ১ কোটি টাকার লটারি পাওয়ার খবর শোনামাত্রই রায়গঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দিতে উদ্যোগী হয়। পুলিশের এই ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।”