Rail Roko: অবরোধ উঠতেই খালি রেলের ট্র্যাক, দুপুর থেকে চালু হতে পারে পরিষেবা
Railway Track Is Cleared:অবরোধ তুলে নিতে প্রশাসনের তরফে রাতেই দফায় দফায় কথা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। মহালয়ার সকালেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউর থেকে উঠে গেল কুড়মি সম্প্রদায়ের অবরোধ।
সুনীত হালদার, বিশ্বজিৎ দাস ও হংসরাজ সিংহ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া: অবরোধ (agitation) তুলে নিতে প্রশাসনের তরফে রাতেই দফায় দফায় কথা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের (agitator) সঙ্গে। মহালয়ার (mahalaya) সকালে এল স্বস্তি, পশ্চিম মেদিনীপুরের (paschim medinipur) খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার (purulia) কুস্তাউর থেকে আজ ভোরেই উঠে গেল কুড়মি (kurmi) সম্প্রদায়ের অবরোধ। পরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের (south eastern railways) মুখ্য জনসংযোগ অধিকারীক আদিত্য কুমার চৌধুরী জানালেন, গত রাতে আন্দোলনকারীরা যে দুই স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেখান থেকে সরে গিয়েছেন। এখন রেলের ট্র্যাক (railway track) পুরোপুরি খালি।
কী ঘটল এদিন?
দক্ষিণ পূর্ব রেল জানিয়েছে, এখন রেল ট্র্যাকের হালহকিকত খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। ইঞ্জিনিয়াররা ট্র্যাক নিয়ে ফিট সার্টিফিকেট দিলেই যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা শুরু হবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের যে কয়েকটি ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছিল সেগুলিও এবার চেনা রাস্তা দিয়ে চালানো হবে। আদিত্য কুমার চৌধুরীর আশা, আজ দুপুরের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গত ২০ তারিখ থেকে কুড়মি সম্প্রদায়ের অবরোধের জেরে থমকে ছিল ট্রেন পরিষেবা। শনিবার পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো ট্রেন বাতিল হয়, বহু দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ ছোট করা হয় বা সময়সূচি বদলে যায় বহু ট্রেনের। তার জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। তফশিলি উপজাতি তালিকাভুক্তির দাবিতে এই অবরোধে সামিল হয়েছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের সদস্যরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউর তো বটেই, পরে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতেও বিক্ষোভ দেখা দেয়। রেললাইনের পাশাপাশি জাতীয় সড়কও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
ক্ষয়ক্ষতি...
টানা কয়েক দিন ধরে চলতে থাকা ওই আন্দোলনের জেরে, ঝাড়গ্রাম-খড়গপুরে স্তব্ধ হয়ে পড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে কয়েক হাজার পণ্যবাহী লরি ও ট্রাক। এর প্রভাব পড়ে শাক-সবজির বাজারে। ভিন রাজ্যে সবজি রফতানির অন্যতম মাধ্যম এই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু সেই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রাকবন্দি হয়েই নষ্ট হয়ে যায় বহু সবজি, কাঁচা আনাজ, জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। কারও কারও আবার দাবি ছিল, জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় তাঁরা ভিন রাজ্যে সবজি পাঠাতেই পারছেন না। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি গণপরিবহণের ছবিটাও রীতিমতো উদ্বেগজনক ছিল। এদিন আন্দোলন উঠে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। কিন্তু ক্ষতিপূরণ হবে কী ভাবে? সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:মহালয়ায় শুভেন্দু- দিলীপের ছবিতে মালা দিয়ে বাবুঘাটে তর্পণ মদন মিত্রের