Ram Mandir: শাড়িতেই গোটা রামায়ণ, নিপুণ শিল্পকর্ম নিয়ে অযোধ্যার পথে পাড়ি বাংলার তাঁতশিল্পীর
Ayodhya Ram Mandir: শিল্পী এই শাড়ির নাম দিয়েছেন রামায়ণ। ১৪ মাস ধরে সিল্কের সুতোয় সূক্ষ্ম কাজের মাধ্যমে হস্তচালিত তাঁতে বুনেছেন আস্ত একটা শাড়ি।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন ঘিরে বাংলাতেও (West Bengal) উন্মাদনা। কোথাও লক্ষ প্রদীপে সাজানো হচ্ছে রামমূর্তি। কোথাও আবার শাড়িতে ফুটে উঠছে রাম-কাহিনী। এমনই এক অভিনব শিল্পভাবনা ফুটিয়ে তুললেন নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুরের রাঘবপুর পানপাড়ার বাসিন্দা বছর ৪৮-এর পিকুল রায়।
তিনি পেশায় একজন তাঁত শিল্পী। রামায়ণ শাড়ি (Ramayan Saree) নিয়ে শিল্পী নিজেই চললেন অযোধ্যায় (Ayodhya)। রামায়ণে রামচন্দ্রের বনবাস থেকে রাম রাবণের যুদ্ধ, সীতাকে ফিরিয়ে আনা, অভিষেক, সমস্তটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গোটা একটি শাড়িতে। যা তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৪ মাস। তাঁত শিল্পী অদ্ভুত মিল রাখার চেষ্টা করেছেন রামচন্দ্রের ১৪ বছর বনবাসের সঙ্গে নিজের শিল্পকর্মও ১৪ মাসে সমাপ্তি করে।
শিল্পী এই শাড়ির নাম দিয়েছেন রামায়ণ। ১৪ মাস ধরে সিল্কের সুতোয় সূক্ষ্ম কাজের মাধ্যমে হস্তচালিত তাঁতে বুনেছেন আস্ত একটা শাড়ি। শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছেন রামের বনবাস থেকে রাম রাবণের যুদ্ধ শেষে অযোধ্যায় ফিরে রামের অভিষেক পর্যন্ত। অসাধারণ শিল্প নৈপুণ্য ফুটে উঠেছে তাঁর তৈরি শাড়িতে। যা বাংলার হস্তচালিত তাঁত শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।
আরও পড়ুন, আট লক্ষ প্রদীপে তৈরি রামের মূর্তি, রাম মন্দির উদ্বোধনে সাজ সাজ রব কাকিনাড়ায়
শাড়িটি দেখার পর বহু মানুষ কিনতে চাইলেও, তিনি বিক্রি করতে চাননি। তাঁর ইচ্ছা ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে উপহার হিসেবে সশরীরে উপস্থিত থেকে শাড়িটি তুলে দিতে চান। বাংলার উপহার হিসেবে শাড়িটি প্রদর্শিত হোক অযোধ্যার রাম মন্দিরে। আর এই বাসনা নিয়েই তিনি এবং তাঁর দাদা অনন্ত রায় অযোধ্যা যাওয়ার জন্য হবিবপুর স্টেশন থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:৪৫ মিনিটের ডাউন শান্তিপুর লোকাল ট্রেনে চেপে শিয়ালদা অভিমুখে রওনা দেন। হবিবপুর রেল স্টেশনে ট্রেন ধরার আগ মুহূর্তেও বারো হাত রামায়ণ শাড়ি দেখার জন্য অগুণিত মানুষ ভিড়ও জমান।
এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের কাউন্টডাউন শুরু। রামের শহরে সাজো সাজো রব। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ অযোধ্যায় আসছেন। VVIP ও দেশ-বিদেশের অতিথিদের আসার আগেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে সবকিছু দেখভাল করছেন। অযোধ্যা শহরকে ঝকঝকে তকতকে করে রাখতে তৎপর প্রশাসনও। ঘন ঘন রাস্তা সাফাইয়ের কাজ চলছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে