Ramakrishna Mission property: সেবক হাউস রামকৃষ্ণ মিশনকে ফেরাল পুলিশ, মূল অভিযুক্তের খোঁজ মিলল?
Ramakrishna Mission property dispute: রবিবার ভোরে শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পত্তি সেবক হাউসে হামলা হয়। খুনের হুমকি দিয়ে বাড়িছাড়া করা হয় নিরাপত্তারক্ষী এবং সেখানকার আবাসিকদের।
সনৎ ঝা, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল সিল। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন ( RKM ) কর্তৃপক্ষের হাতে সেবক হাউস তুলে দিল পুলিশ। রবিবার ভোরে শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পত্তি সেবক হাউসে হামলা হয়। খুনের হুমকি দিয়ে বাড়িছাড়া করা হয় নিরাপত্তারক্ষী এবং সেখানকার আবাসিকদের। ঘটনার পর বাড়িটি সিল করে দিয়েছিল পুলিশ।
রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে হামলার অভিযোগে ভক্তিনগর থানায় FIR করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল প্রদীপ রায়ের। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে এই FIR করার এক ঘণ্টা পর, সেই ভক্তিনগর থানাতেই রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী অক্ষয়ানন্দের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা FIR করেন প্রদীপ রায়। এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ, স্বামী অক্ষয়ানন্দ বছর আটেক জলপাইগুড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, 'এটা অত্য়ন্ত বেদনাদায়ক যে এই অবস্থায় অক্ষয়ানন্দজিকে টেনে আনা হয়েছে এবং তাঁর সম্পর্কে জামিন অযোগ্য় ধারায় FIR লজ করা হয়েছে। অক্ষয়ানন্দজি জলপাইগুড়ি আশ্রমে ৭-৮ বছর আগে ছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশন জলপাইগুড়ির অধ্য়ক্ষ হিসাবে তিনি ডিড অফ গিফট গ্রহণ করেছিলেন। যখন এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তখন অক্ষয়ানন্দজি ইলাহাবাদে আছেন, প্রয়াগরাজে।'
বুধবারই পুলিশ জানিয়েছিল যে ভুল তথ্য দিয়ে FIR করেছিলেন প্রদীপ রায়। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের ডিসিপি (ইস্ট) দীপক সরকার জানান, ' যে মূল অভিযুক্ত আছে এই কেসে প্রদীপ রায়, তিনি একটি কেস করেছেন। প্রদীপের দাবি কোনও ভাবেই ঠিক নয় ।'
বুধবার শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে জমি-মাফিয়ার তাণ্ডবের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। অভিযোগ, শিলিগুড়ির শালুগাড়ার এই রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখল করতে রবিবার ভোরে প্রদীপ রায়ের নেতৃত্বে হামলা চালায় সশস্ত্র গুন্ডাবাহিনী। নিরাপত্তারক্ষী এবং সেখানে বসবাসকারী আবাসিকদের খুনের হুমকি দিয়ে বাড়িছাড়া করা হয়। CC ক্য়ামেরা ভেঙে ফেলার পাশাপাশি, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে থানায় FIR করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। একঘণ্টার মধ্য়ে সেই অভিযুক্তই আবার একই থানায় রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী অক্ষয়ানন্দর বিরুদ্ধে পাল্টা FIR করেন। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এই নিয়ে তোলপাড়ের ৩ দিনের মাথায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এত দিন পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত। মূল অভিযুক্তের খোঁজ শেষ অবধি পুলিশ কবে পায়, সেদিকেই সবার নজর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: হিরণের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো! অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ আপ