CID Report On Ramnavami Violence:মুর্শিদাবাদে রামনবমীর মিছিলে বোমা, তদন্ত রিপোর্টে কিছুই পেল না পুলিশ!
Calcutta High Court:রামনবমীর মিছিলে বোমা মারার ঘটনার তদন্তে কিছুই পেল না পুলিশ। রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে যে অশান্তি হয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট দিল রাজ্য।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রামনবমীর মিছিলে বোমা মারার ঘটনার তদন্তে কিছুই পেল না পুলিশ। রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে যে অশান্তি হয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট দিল রাজ্য (Ramnavami Violence)। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুর্শিদাবাদের এসপি এবং সিআইডি রিপোর্ট পেশ করে এদিন। 'একাধিক জায়গায় বোমাবাজির অভিযোগ, এখনও তদন্তে কিছু মেলেনি', হাইকোর্টে জোড়া রিপোর্ট দিয়ে দাবি করে রাজ্য সরকার। আগামী ১০মে হাইকোর্টে ফের শুনানি।
রাজ্যের দাবি...
রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে যে গণ্ডগোল হয়েছিল, তা নিয়ে হাইকোর্টে এদিন ২টি রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য। দাবি করা হয়, তদন্তে কিছুই পাওয়া যায়নি। গত রামনবমীতে মুর্শিদাবাদের একটি মিছিলে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের ওই ঘটনায় এক জন জখমও হন বলে খবর। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি হন জখম ওই মহিলা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ আনে বিজেপি। পাল্টা আঙুল তোলে তৃণমূলও। শুধু শক্তিপুর নয়, জানা গিয়েছিল বেলডাঙাতেও একাধিক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় বোমাবাজির ওই ঘটনায় ১৩টি মামলা দায়ের করেছিল সিআইডি। এর মধ্যে রেজিনগরের ঘটনার জন্য এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে জনস্বার্থ মামলার হুঁশিয়ারিও দেন। পাল্টা তৃণমূল জানায়, হামলার পিছনে হাত রয়েছে বিজেপির।
কী ঘটেছিল?
রামনবমীর বিকেলে শক্তিপুর বাজারে মিছিল বের করা হয়। অভিযোগ, মিছিল কিছুদূর এগোতেই, সেই মিছিলে ইটবৃষ্টি শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, পাল্টা মিছিল থেকেও ইটবৃষ্টি শুরু হতেই সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরই মধ্যে বোমা এসে পড়তে থাকে। পরপর বোমাবাজির মাঝেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু দোকানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্য়াসের শেল ফাটায় পুলিশ! শুরু হয় লাঠিচার্জ। জখম হন বেশ কয়েকজন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু দোকানে। আক্রান্ত হন শক্তিপুর থানার OC-সহ ৩ জন পুলিশ কর্মী।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্য়াসের শেল ফাটায় পুলিশ! শুরু হয় লাঠিচার্জ। ইটের আঘাতে মুখ ফেটে যায় OC-র। অশান্তিতে জখম হন একাধিক সাধারণ মানুষ। রেজিনগরে রামনবমীর মিছিলে বোমাবাজির এই ঘটনায়, NIA তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টে মামলা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এতেই শেষ নয়। পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী হাসপাতালে জখমদের দেখতে গেলে তাঁকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। অভিযোগ, বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পরে রেজিনগরের জনসভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবার আক্রমণ শানান বিজেপিকে। বলেন, 'রামনবমীর আগের দিন কেন সরিয়ে দেওয়া হল ডিআইজি-কে? বিজেপিকে নাটক করতে দেওয়ার জন্য ডিআইজির অপসারণ?'
আরও পড়ুন:আমি কি ডিস্কো ড্যান্স করব ? কেন এমন মন্তব্য তৃণমূলের গৌতম দেবের ?