Rath Yatra 2022: জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার কাঠের মূর্তি মিলেছিল এখানেই ! প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই মেলা
শুক্রবার সকাল থেকেই রথ যাত্রায় মেতেছে গোটা রাজ্য। সেই তালিকায় বাদ যায়নি মেদিনীপুরের এই প্রাচীন রথের মেলা।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুরঃ শুক্রবার সকাল থেকেই রথ যাত্রায় মেতেছে গোটা রাজ্য। সেই তালিকায় বাদ যায়নি মেদিনীপুরের এই প্রাচীন রথের মেলা। এখনও এখানে পৌঁছয় শহরের বিষবাস্প। মাটি ছোঁয়া গন্ধ রয়েছে ডেমুরিয়ার এই প্রাচীন রথের মেলায়। প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো রামনগর -২ ব্লকের ডেমুরিয়ার এই রথের মেলা।উল্লেখ্য, ১৭৪১ সালে বাংলায় বর্গী আক্রমণের সময় এখানকার জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার কাঠের মূর্তির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে ইতিহাসের বিবরণে। শুক্রবার সকাল থেকেই এই জেলায় ধুমধাম করে মহা সাড়ম্বরে চলছে রথ যাত্রা।
আরও পড়ুন, বর্ধমানে রুপোর রথে চেপে আসতেন রানি ? সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো রাজা রানির রথের ফের গড়াল চাকা
জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার কাঠের মূর্তি মিলেছিল এখানেই !
প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো রামনগর -২ ব্লকের ডেমুরিয়ার এই রথের মেলা।উল্লেখ্য, ১৭৪১ সালে বাংলায় বর্গী আক্রমণের সময় এখানকার জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার কাঠের মূর্তির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে ইতিহাসের বিবরণে। কোভিড পরিস্থিতির জন্য পরপর দু'বছর নামমাত্র রথ হয়েছে। পুণ্যার্থীরা রথের রশি ধরে টানার সুযোগ পায়নি। এ বছর মেলার প্রস্তুতি- করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এ বছর সোজা রথ থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত প্রায় দিনই লক্ষাধিক পুণ্যার্থী সমাগম হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। ইতিপূর্বে মেলায় ১২০০ স্টল বসানোর জন্য আবেদন জমা পড়েছে। সোজা রথ, উল্টোরথ এবং বাসি রথ এই তিন দিন বিকেল পাঁচটা থেকে রাত্রি দশটা পর্যন্ত পুণ্যার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হবে। এক কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে আয়োজন করা হয়েছে মেলার।
করোনা চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় কী করবেন উদ্যোক্তারা ?
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কোভিড সময়ের জটিলতা পেরিয়ে এখন কিছু স্বাভাবিক বাংলা। নতুন করে কোভিড ছড়ালেও তা আগের মতো আশঙ্কাজন পরিস্থিতিতে পৌঁছয়নি। তাই এবারের রথ যাত্রায় মনে সুখেই অংশ নিল মহানগর তথা সারা বাংলা। এদিন সকাল থেকেই ধুমধাম করে মহা সাড়ম্বরে চলছে রাজ্য জুড়ে রথ যাত্রা। এবারের ৩০০ বছরের প্রাচীন রামনগর -২ ব্লকের ডেমুরিয়ার প্রাচীন রথের মেলা চত্বর অনেক বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত করা হচ্ছে। একবার গোটা মেলা ঘুরে এলেই এক কিলোমিটারের বেশি পায়ে হাটা। তাছাড়া শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার প্রচার চলবে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ- পূণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আয়োজকদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।